বিষন্ন নগরী, নিরব সড়ক

জাতীয়

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশে মহামারি করোনার ডেল্টা বা ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ৭ দিনের ‘কঠোর বিধিনিষেধের’ দ্বিতীয় দিন আজ। সাপ্তাহিক ছুটি ও বৃষ্টির কারণে গতকালকের তুলনায় শুক্রবার (২ জুলাই) রাজধানীর সড়কগুলোয় যেন শুনসান নিরবতা বিরাজ করছে। তবে কাঁচা বাজারগুলোর অবস্থা আগের মতোই।


বিজ্ঞাপন

এদিকে কঠোর বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে গতদিনের মতো আজও মাঠে রয়েছে পুলিশ, র‌্যাব ও সেনাবাহিনী। তারা রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে টহল দিচ্ছেন। গাড়ি দাঁড় করিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন।


বিজ্ঞাপন

রাজধানীর মোহাম্মদপুর, আসাদগেট, খামারবাড়ি, ফার্মগেট, পান্থপথ, বাংলামোটর, খিলগাঁও, শাহবাগ এলাকায় বেশির ভাগ দোকানপাট বন্ধ দেখা গেছে। প্রধান সড়কের তুলনায় অলিগলিতে মানুষের চলাফেরা কিছুটা বেশি রয়েছে। সকালের দিকে গণমাধ্যমসহ বিভিন্ন জরুরি সেবা প্রতিষ্ঠানের যানবাহন যাতায়াত করতে দেখা গেছে। পাশাপাশি রিকশা ও পণ্যবাহী কিছু যানবাহনের চলাচল রয়েছে।

সর্বাত্মক লকডাউনের প্রথম দিনে এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ ১৪৩ জনের মৃত্যু ও ৮ সহস্রাধিক ব্যক্তির আক্রান্তের খবর দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এই তথ্যে জনমনে শঙ্কা বেড়েছে। সড়কে মানুষ না থাকার এটাও একটা কারণ হতে পারে। এছাড়া সকাল থেকে বৃষ্টি হওয়ায় অনেকেই প্রয়োজন থাকলেও ঘর থেকে বের হয়নি।

গতকাল বৃহস্পতিবার যারা বিনা কারণে বের হয়েছেন, তাদের অনেককেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে আটক হতে হয়েছে অথবা জরিমানা দিতে হয়েছে।

ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) দাবি করেছে, যৌক্তিক কারণ ছাড়া বের হওয়ায় গতকাল ঢাকায় ৫৫০ জনকে গ্রেপ্তার করে মামলা দেয়া হয়। মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পেয়েছে ৩৯১ জন। এর বাইরে ভ্রাম্যমাণ আদালত জরিমানা করেছে ২১২ জনকে। ২৭৪টি গাড়ির বিরুদ্ধে মামলাও করা হয়েছে।

করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হওয়ার পর গত এপ্রিল থেকে বিভিন্ন মাত্রায় বিধিনিষেধ জারি করে আসছিল সরকার। কয়েকটি জেলা ‘লকডাউনও’করা হয়। তবে রাজধানীসহ সারাদেশে এবারের বিধিনিষেধের ভিন্নতা হলো, এ দফায় সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে মাঠে সেনাবাহিনী নামানো হয়েছে।

এই কঠোর বিধিনিষেধে জরুরি সেবা ছাড়া সব ধরনের যান্ত্রিক বাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাব ও বিজিবি তৎপর রয়েছে।