জরিমানা ৭৫ লাখ
নিজস্ব প্রতিবেদক : মেয়াদউত্তীর্ণ কাঁচামাল দিয়ে ওষুধ তৈরি, কাঁচামাল পরীক্ষা না করেই ব্যবহারের প্রমাণ মিলেছে মডার্ন হারবালের কারখানায়। আবার শিল্পে ব্যবহারের রাসায়নিকও ব্যবহার হতো সেখানে। কবে ওষুধ উৎপাদন হয়েছে, তার তারিখও মোড়কের গায়ে থাকত না।
এমন অনিয়মের প্রমাণ পেয়ে কারখানা সিলগালা করার পাশাপাশি মডার্নকে ৭৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
হারবাল চিকিৎসায় নাম কার এই এই প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৪০০টি পণ্য বাজারে রয়েছে। সেখানে এত অনিয়মের চিত্র দেখে অভিযানকারী দল আর ঔষধ প্রশাসনের কর্মীরা অবাক হয়ে যান।
বুধবার র্যাবের একটি ভ্রাম্যমাণ আদালত ঢাকার ডেমরায় ওষুধ প্রতিষ্ঠানটির কারখানাটিতে অভিযানে যায়। চলে রাত আটটা পর্যন্ত। পুরোটা সময় কারাখানার বিভিন্ন বিভাগে যান ঔষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। পুরো কারখানাতেই মেলে অনিয়মের নানা চিত্র। এসব বিষয়ে কর্মীরা কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।
অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম বলেন, ‘মডার্ন হারবাল ওষুধ তৈরিতে কোন ধরনের মান নিয়ন্ত্রণ করে না। একটা ওষুধ বানানোর আগে ও পরে যেসব উপাদান দিয়ে বানানো হয়েছে সেগুলো পরীক্ষা করতে হয়। কিন্তু ২০১৮ সালের শুরু থেকে প্রতিষ্ঠানটি ওষুধ তৈরির পর কোন ধরণের মান পরীক্ষা করেনি। এছাড়া ওষুধ তৈরিতে কিছু কাঁচামাল ব্যবহার করেছে যেগুলোর মেয়াদউত্তীর্ণ হয়ে গেছে।
সারওয়ার জানান, ওষুধ কারখানায় ব্যবহার হয় না, এমন রাসায়নিকও ব্যবহার করত মডার্ন কারবাল। ইন্ডাস্ট্রিয়াল গ্রেড দিয়ে তারা ওষুধ তৈরি করছিল যা মানব দেহের জন্য ভীষণ ক্ষতিকর বলে তাদের সঙ্গে যাওয়া বিশেষজ্ঞরা মত দিয়েছেন।
ক্যালসিয়ার ক্লোরাইডও ওষুধে ব্যবহার করার প্রমাণ মিলেছে কারখানাটিতে। আর এটি আইনত অপরাধ বিবেচনায় এনে তাদেরকে জরিমানার আদেশ দেওয়া হয়েছে।
অনিয়মের এখানেই শেষ নেই। গত কয়েক বছর ধরে প্রতিষ্ঠানটি যেসব পণ্য উৎপাদন করেছে, তার কোনোটারই ব্যাচ ম্যানুফ্যাকচারিং রেকর্ড (বিএমআর) নেই। একই ল্যাবে খাবারের মান নিয়ন্ত্রণ ও জীবন রক্ষাকারী ওষুধের মান নিয়ন্ত্রণ যাচাইয়ের কোনো সুযোগ নেই। অথচ প্রতিষ্ঠানটি একই ল্যাবে এমনটাই করে আসছে।