নাজনীন আলম : ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সবাই নৌকা পেতে মরিয়া। তাই ২/১ জন নেতাকে ম্যানেজ করার জন্য চলছে যত কর্মযজ্ঞ। জননেত্রীর দূর্দিনের কর্মীদের দিকে তাকানোর সময় তাদের নেই, দরকারও নেই। এলাকাবাসী ও জনগণের কল্যাণে কাজ করা যে বোকামী ছাড়া কিছুই নয়- এরই মধ্যে তার প্রমাণ তারা পেয়ে গেছে। সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড বেগবানসহ দলীয় নেতাকর্মীদেরকে মূল্যায়ন ও সম্মানিত করতে ইউনিয়ন নির্বাচনে নৌকা প্রতীক দিয়েছিলেন প্রিয় নেত্রী। কিন্তু কিছু রক্ত পিপাসু জননেত্রীর এ মহৎ উদ্যোগকে কলঙ্কিত করে চলছে।
বিভিন্ন সরকারি ভাতা, টিআর, কাবিখা, ত্রাণের চাল, মানবিক সহায়তা এবং রাস্তাঘাটসহ উন্নয়ন বরাদ্দের সিংহভাগই যথাযথভাবে ব্যয় করছেন না নির্বাচিতদের অনেকেই। সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন বাঁধাগ্রস্থ হচ্ছে। এছাড়া, দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে খুব কম প্রার্থীই আছেন যারা জনকল্যাণে বা নেতাকর্মীদের সেবায় নিয়োজিত থাকার চেষ্টা করেন। কারণ, এখন জনসমর্থন, উন্নয়ন এবং দলীয় নেতা কর্মীদের পাশে থাকার খুব একটা দরকার নেই; শুধু প্রয়োজন যে কোন কায়দায় নৌকাটা কিনে নেয়া। তাই তারা হন্যে হয়ে ছুটছে টাকা কামিয়ে নৌকা হাসিল করতে। এই প্রতিযোগিতায় বাড়ছে গ্রুপিং কোন্দল এবং রাজনৈতিক অশান্তি; বিনষ্ট হচ্ছে দলীয় ঐক্য ও সংহতি।
![](https://ajkerdesh.com/wp-content/uploads/2024/05/WhatsApp-Image-2024-05-31-at-21.07.07_c7f123fd.jpg)
উন্নয়ন, সেবা ও সহযোগিতা বঞ্চিত হচ্ছে প্রায় প্রতিটি এলাকার জনগণ ও দলীয় নেতাকর্মীরা। জনগন বঞ্চিত ও ক্ষুব্ধ; দলীয় নেতাকর্মীরাও গুরুত্বহীন ও ক্ষুব্ধ। এই বঞ্চনা ও ক্ষুব্ধতা নৌকা প্রতীক এবং দলীয় হাইকমান্ডের দিকে দিনে দিনে ধাবিত হচ্ছে। গর্বের নৌকা মার্কা হারিয়ে ফেলতে বসেছে তার ওজন ও ঐতিহ্য । এভাবে অনেক এলাকাতেই আওয়ামী লীগকে অজনপ্রিয় করে দিচ্ছে নৌকা।
লেখক : কার্যনির্বাহী সদস্য, ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগ