চর ডেভেলপমেন্ট এন্ড সেটেলমেন্ট প্রকল্প

জাতীয়

নিজস্ব প্রতিনিধি : ১৯৮০ সন হতে নেদারল্যান্ড সরকারের সহায়তায় ভূমি উদ্ধার প্রকল্পের (Land Reclimation Project) মাধ্যমে সমুদ্র হতে ভূমি উদ্ধার ও চর উন্নয়নের কাজ শুরু হয়। পরবর্তীতে বাংলাদেশের দক্ষিণ অঞ্চল, বিশেষত: নোয়াখালী জেলায় চর ডেভেলপমেন্ট এন্ড সেটেলমেন্ট প্রজেক্ট-১, ২, ৩ ও ৪ এর মাধ্যমে ১৯৯৪ সন হতে ২০১৬ সন পর্যন্ত ব্যাপক চর উন্নয়ন ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের আওতায় ভূমি বন্দোবস্তের কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়।


বিজ্ঞাপন

এ প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য (১) নতুন উপকূলীয় চরাঞ্চল বিশেষত উড়ির চর এবং চর নাঙ্গুলিয়ায় বসবাসরত জনগণের ক্ষুধা ও দারিদ্র্য হ্রাস করা; (২) উপকূলীয় চরাঞ্চলের ৬০০০ ভূমিহীন জনগোষ্ঠীর মাঝে ৭০০০ একর কৃষি খাস জমি বন্দোবস্ত প্রদান পূর্বক ভূমির খতিয়ান বিতরণ ।


বিজ্ঞাপন

ইতোমধ্যে এ প্রকল্পের ১ম, ২য় ও ৩য় ফেইজ এর আওতায় ১৯৯৪ থেকে ২০১০ মেয়াদে ১৬ বছরে সমুদ্র হতে জেগে ওঠা ৩০ হাজার একর ভূমির সার্বিক উন্নয়ন সাধন পূর্বক ভূমি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ২২ হাজার নদীভাঙ্গা ভূমিহীন পরিবারকে কৃষি খাসজমি বন্দোবস্ত প্রদান করে পুনর্বাসন করা হয়েছে।


বিজ্ঞাপন

সমুদ্র হতে জেগে ওঠা আরও ৪৫ হাজার একর খাস ভূমির জলবায়ু সহনশীল উন্নয়ন ও ২০১৬ সনের মধ্যে ১৪,০০০ ভূমিহীন পরিবারকে খাস জমি বিতরণের লক্ষ্যে বর্তমান চর ডেভেলপমেন্ট এন্ড সেটেলমেন্ট প্রজেক্ট-৪ চলমান রয়েছে। চর ডেভেলপমেন্ট এন্ড সেটেলমেন্ট প্রজেক্ট-৪ (সিডিএসপি-৪), ২য় সংশোধিত শীর্ষক প্রকল্পটি বাংলাদেশ সরকার এবং ইফাদ ও নেদারল্যান্ড সরকারের অর্থায়নে নোয়াখালী জেলার হাতিয়া ও সুবর্ণচর উপজেলায় জানুয়ারি ২০১১ হতে ডিসেম্বর ২০১৮ মেয়াদে বাস্তবায়িত হয়।

এ প্রকল্পের মোট ব্যয় ৭.৬৯ কোটি টাকা এর মধ্যে প্রকল্প সাহায্য ৩.১৩৯৪ কোটি টাকা এবং জিওবি ৪.৫৫০৬ কোটি টাকা। প্রকল্পের আওতায় ১৪,০০০ ভূমিহীন পরিবারকে ২০ হাজার একর খাস জমি বন্দোবস্ত প্রদানের লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ডিসেম্বর’১৮ পর্যন্ত ১৭,৫৬০ একর খাস জমি বন্দোবস্ত প্রদানের মাধ্যমে সর্বমোট ১৩,৫০৮ টি ভূমিহীন পরিবারের মধ্যে খতিয়ান বিতরণ করা হয়েছে।

এরই ধারাবাহিকতায় ৬ হাজার ভূমিহীন দরিদ্র পরিবারকে পুনর্বাসনের লক্ষ্যে জুলাই ২০১৯ হতে জুন ২০২২ মেয়াদে “চর ডেভেলপমেন্ট এন্ড সেটেলমেন্ট প্রজেক্ট-ব্রিজিং (সিডিএসপি-বি) (ভূমি মন্ত্রণালয়ের অংশ)” শীর্ষক প্রকল্পটির বাস্তবায়ন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এ প্রকল্পের আওতায় জুন ২০২০ পর্যন্ত ৪,৩০০ একর ভূমির প্লট টু প্লট জরিপ কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে এবং ১৬০টি ভূমিহীন পরিবার বাছাই করা হয়েছে।

#ভূমি #জমি #ভূমিমন্ত্রণালয় #LandMinistry #MinistryofLand

১। ভূমি মন্ত্রণালয়ের উন্নয়ন প্রকল্পসমূহ :
https://www.facebook.com/minland.gov.bd/posts/948398079070254

২। গুচ্ছগ্রাম প্রকল্প:
https://www.facebook.com/minland.gov.bd/posts/952462431997152

৩. ডিজিটাল পদ্ধতিতে ভূমি জরিপ, রেকর্ড প্রণয়ন ও সংরক্ষণ প্রকল্প:
https://www.facebook.com/minland.gov.bd/posts/953144495262279
XMA Header Image
ভূমি মন্ত্রণালয়ের উন্নয়ন প্রকল্প:

ভূমি মন্ত্রণালয়ের আওতাভুক্ত দপ্তর/সংস্থার মাধ্যমে ভূমি ব্যবস্থাপনা (Land Management), ভূমি রাজস্ব জরিপ (Cadastral Survey) ও ভূমি ও ভূমি রাজস্ব সংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পত্তি (Land Land Revenue Settlement/Arbitration) সম্পর্কিত নিয়মিত কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি ভূমি মন্ত্রণালয় বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প (Development Project) গ্রহণের মাধ্যমে ভূমিহীন, গৃহহীন, ঠিকানাহীন, নদী ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্ত দরিদ্র পরিবারকে পুনর্বাসন, ভূমি ব্যবস্থাপনা আধুনিকায়ন তথা ডিজিটাইজেশন ও ভূমি অফিসের অবকাঠামোগত উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনা করেছে।

# ২০১৯-২০ অর্থ বছরে চলমান প্রকল্প (চার্ট):

১। গুচ্ছগ্রাম-২য় পর্যায় (ক্লাইমেট ভিকটিমস রিহ্যাবিলিটেশন) প্রকল্প;
২। ডিজিটাল পদ্ধতিতে ভূমি জরিপ, রেকর্ড প্রণয়ন ও সংরক্ষণ প্রকল্প;
৩। চর ডেভেলপমেন্ট এন্ড সেটেলমেন্ট প্রজেক্ট-ব্রিজিং (সিডিএসপি-ব্রিজিং) প্রকল্প (ভূমি মন্ত্রণালয়ের অংশ);
৪। উপজেলা ও ইউনিয়ন ভূমি অফিস নির্মাণ প্রকল্প;
৫। ভূমি ভবন কমপ্লেক্স নির্মাণ প্রকল্প;
৬। সমগ্র দেশে শহর ও ইউনিয়ন ভূমি অফিস নির্মাণ প্রকল্প;
৭। ডিজিটাল পদ্ধতিতে ভূমি জরিপের মাধ্যমে ৩টি সিটি কর্পোরেশন, ১টি পৌরসভা এবং ২টি গ্রামীণ উপজেলায় ডিজিটাল ভূমি ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি স্থাপন প্রকল্প;
৮। ভাষানটেক পুনর্বাসন প্রকল্প (চার্টে দেখানো হয়নি)।

# ২০২০-২১ অর্থ বছর থেকে শুরু হওয়া নতুন ৪টি প্রকল্প:

১। মৌজা ও প্লট ভিত্তিক ডিজিটাল ভূমি জোনিং প্রকল্প;
২। ডিজিটাল পদ্ধতিতে ভূমি জরিপ করার জন্য ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের পরিচালনা সক্ষমতা; শক্তিশালীকরন প্রকল্প;
৩। ভূমি ব্যবস্থাপনা অটোমেশন শীর্ষক প্রকল্প;
৪। এস্টাব্লিশমেন্ট অব ডিজিটাল ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম প্রকল্প।