ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিজয়নগরে ভূমি দস্যু পরিবারের মিথ্যা প্রচারণা

Uncategorized অপরাধ আইন ও আদালত গ্রাম বাংলার খবর বিশেষ প্রতিবেদন সারাদেশ

মো : শাকিল হাসান (ব্রাহ্মণ্বাড়িয়া)  :  ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিজয়নগর উপজেলার বুধন্তী ইউনিয়ন এর সাবেক চেয়ারম্যান মিছির আলীর ভূমি দস্যু পরিবার মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছে যে, মিছির আলী সাবেক ২২ বছরের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিল সে ১৯৭৭ সাল থেকে সুনামের সাথে ২২ বছর বুধন্তী ইউনিয়ন পরিষদ এর চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করে আসছে বলে দাবি করে তার পরিবার।


বিজ্ঞাপন

এই ভূমি দস্যু পরিবার তাদের জীবন বৃত্তান্তে মিছির আলী ২২ বছরের চেয়ারম্যান উল্লেখ করে। বিয়ের ভিজিটিং কার্ডে ও ২২ বছরের চেয়ারম্যান উল্লেখ করে এই ভূমি দস্যু পরিবার মিথ্যা প্রচার করে। সামাজিক ভাবেও ২২ বছরের চেয়ারম্যান ছিল বলে দাবি করে আসছে বিগত আমল থেকে।


বিজ্ঞাপন

ইদানিং বিভিন্ন পত্র পত্রিকাতেও মিছির আলী ১৯৭৭ সাল থেকে ধারাবাহিক ভাবে ২২ বছরের চেয়ারম্যান ছিল বলে দাবি করে সংবাদ প্রকাশিত করে কিছু ভুঁইফোঁড় মিডিয়াতে।


বিজ্ঞাপন

আদালতের মামলার আর্জিতে ১৯৭৭ সাল থেকে ২২ বছরের চেয়ারম্যান ছিল বলে উল্লেখ করে মামলা দাখিল করে এই ভূমি দস্যু পরিবার।


বিজ্ঞাপন

অনুসন্ধানে জানা যায় মিছির আলী ১৯৭৭ সালে ষড়যন্ত্র করে এক বার অবৈধ চেয়ারম্যান এর পদ চিনিয়ে নেয়।এই বিষয়ে জানতে চাইলে এলাকার কয়েকজন মুরুব্বি বলে, মিছির আলী মাত্র এক জন ওয়াড মেম্বার এর ভোট পায় কিন্তু পরবর্তীতে খবর পাই অবৈধভাবে টাকা দিয়ে কুমিল্লা থেকে সের নামে চেয়ারম্যান ওদ নিয়ে আসে।

উনারা বলে মিছির আলী চেয়ারম্যান থাকাকালীন সময়ে এই ইউনিয়ন পরিষদ এর কোন উন্নয়ন কাজ করেনি।মিছির আলী তার চেয়ারম্যান পদ ব্যবহার করে অবৈধভাবে বিভিন্ন মানুষের জায়গা জমি দখল করে নেয়।পরবর্তী বিএস জরিপ চলা কালে তার পরিবারের সদস্যর নামে অবৈধভাবে বিএস রেকর্ড করে নেয়।

অনেকেই এই এলাকা ছাড়া করে এই ভূমি দস্যু পরিবার, বীরপাশা মৌজা মূলত হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষজন বসবাস করতেন। ১৯৭১ সালের মুক্তি যুদ্ধের সময় হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষজন এই দেশ থেকে চলে যায়।আর এই সুযোগে মিছির আলী হিন্দু সম্প্রদায়ের জায়গ জমি নিজের পরিবারের নামে অবৈধভাবে রেকর্ড করে নেয়।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে মিছির আলীর ছেলে বোরহান উদ্দিন কোন সত উত্তর দিতে পারেনি।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে বুধন্তী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ ইমদাদুল সাহেব বলে, আমি এই মিথ্যা চারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি, আমার পরিষদ এর সাবেক চেয়ারম্যান দের কে সম্মান হানি করেছে মিছির আলীর পরিবার, এদের বিরুদ্ধে আইন আনুগ ব্যবস্হা গ্রহণ করা হবে।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *