নিজস্ব প্রতিবেদক : যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এক অভিনন্দন বার্তায় তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তি উদযাপনের দিকে এখন তাকিয়ে আছে ঢাকা। ব্রেক্সিট নিয়ে জটিলতার মধ্যে টেরিজা মে’র পদত্যাগের পর বুধবারই যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন রক্ষণশীল দলের নেতা বরিস জনসন। চোখের চিকিৎসার জন্য এখন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীও রয়েছেন লন্ডনে। বরিস জনসনকে অভিনন্দন জানিয়ে পাঠানো বার্তায় শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের সরকার ও জনগণের পক্ষ থেকে আপনাকে উষ্ণ অভিনন্দন জানাই। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আপনার দায়িত্বগ্রহণ আপনার নেতৃত্বের উপর যুক্তরাজ্যের জনগণের আস্থার প্রকাশ। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে বরিস জনসনের বাংলাদেশ সফরের কথা তুলে করে শেখ হাসিনা রোহিঙ্গা নির্যাতনের জন্য দায়ীদের বিচারের আওতায় আনা এবং শরণার্থীদের নিরাপত্তা ও সম্মানের সঙ্গে নিজ দেশে ফিরিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে যুক্তরাজ্যের নেতৃত্ব দেওয়ার প্রতিশ্রুতির কথা তাকে স্মরণ করিয়ে দেন। বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্কের বিষয়টির পাশাপাশি এর ঐতিহাসিক দিকটিও তুলে ধরে শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে যুক্তরাজ্যের তৎকালীন রক্ষণশীল দলের প্রধানমন্ত্রী এডওয়ার্ড হিথ বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি সমর্থন জানিয়েছিলেন। আমরা এখন ২০২১ সালে বড় পরিসরে বাংলাদেশের গৌরবময় স্বাধীনতা যুদ্ধের এবং যুক্তরাজ্যের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তি উদযাপনের দিকে তাকিয়ে আছি। বরিস জনসনের নেতৃত্বে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে বিদ্যমান রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও কৌশলগত সম্পর্ক আরও মজবুত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।