চৈত্র-বৈশাখকেও হার মানাচ্ছে আশ্বিনের গরম

জাতীয়

নিজস্ব প্রতিবেদক : অসময়ের অসহনীয় গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। তাপমাত্রা বাড়তে থাকায় রোগীর চাপ বাড়ছে হাসপাতালগুলোতে। সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়ছে শিশুদের ওপর। জ্বর, শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভর্তি হচ্ছে শিশুরা।
গত কয়েক দিনে স্বাভাবিকের থেকে তাপমাত্রা বেড়েছে কয়েক গুণ। আগামী দু-একদিনের মধ্যে তাপমাত্রা স্বাভাবিক হওয়ার পূর্বাভাস আবহাওয়া অফিসের।
পুড়ছে জনজীবন, জনপদ। অতিষ্ঠ শ্রমজীবী মানুষ। বাংলা আশ্বিন মাসের শেষের দিকে হলেও প্রচ- গরমে ওষ্ঠাগত প্রাণ। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন বাইরে বের হওয়ারা। দিনে ও রাতে সমানতালে গরম থাকায় স্বস্তি নেই ঘরেও।
আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ বলেন, সাগরে লঘুচাপের কারণে গরম বেড়ে গেছে। আশা করি কাল থেকে তাপমাত্রা কিছুটা কমতে শুরু করবে। পরশু দিন থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে ভালোই বৃষ্টিপাত শুরু হবে।
এদিকে বিরূপ আবহাওয়ার প্রভাব পড়েছে হাসপাতালগুলোতে। শ্বাস কষ্ট, সর্দি কাশি ও জ্বর নিয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। অনেকে শয্যা না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন অন্য হাসপাতালে।
চিকিৎসকরা বলছেন, এ সময়টাতে কোনোভাবেই শিশুর শরীরে ঘাম বসতে দেওয়া যাবে না। সাধারণ সর্দিকাশি জ্বর হলেই নিতে হবে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ।
ডা. তাহসীন ওয়াহিদ বলেন, বাচ্চাদের এই সময় ঠিকমতো খাওয়াতে হবে। ঘেমে গেলে মুছে দিতে হবে। ঠান্ডা লাগলে কাপড় পরাতে হবে।
আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার দুপুরে রাজধানী ঢাকাতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৫.০৯ সে.। আর সারা দেশের মধ্যে সিলেটে সর্বোচ্চ ৩৭.২ সে. তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।


বিজ্ঞাপন