রক্ত পরীক্ষা করে ঈদে বাড়ি যেতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ

এইমাত্র জাতীয় জীবন-যাপন রাজনীতি

নিজস্ব প্রতিবেদক : এবার ঈদে যারা গ্রামে যাবেন অবশ্যই রক্ত পরীক্ষা করে যাবেন। প্রধানমন্ত্রী লন্ডন থেকে এ নির্দেশনা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচটি ইমাম। বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে তিনি এ কথা বলেন।


বিজ্ঞাপন

এইচটি ইমাম বলেন, ডেঙ্গু নিয়ে কেউ ঢাকার বাইরে গেলে এটি অনেক বেশি বিস্তার লাভ করবে। তাই ঈদে যারা ঢাকার বাইরে যাবেন তাদেরকে রক্ত পরীক্ষা করে যেতে প্রধানমন্ত্রী গতকাল লন্ডন থেকে নির্দেশনা দিয়েছেন।


বিজ্ঞাপন

ডেঙ্গু থেকে বাঁচতে মশারি টাঙানোর পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, ডেঙ্গু নিয়ে আমাদের সচেতন হওয়া খুবই জরুরি। আমি ব্যক্তিগতভাবে মশারি ব্যবহার করি। কারণ মশা কোন সময় কামড় দেবে ঠিক নাই। আবার ঘরের কোণে কিছু আছে কিনা সেটাও দেখা দরকার। ঘরের পাশেই পটপ্লান্ট ছিল, সেগুলোও সরিয়ে ফেলেছি। স্বচ্ছ পানিতে ডেঙ্গু ডিম পারে। ওই ডিমটা যদি ধ্বংস করতে পারি, সেটাই হবে বড় ব্যাপার।

এ সময় তিনি ডেঙ্গু বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য মিডিয়াগুলোকে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।

এইচটি ইমাম বলেন, নাগরিক দায়িত্ববোধ আসতেই হবে। আমরা দেখছিলাম যে, প্রথম থেকেই এ বিষয়গুলো নিয়ে তেমন একটা প্রচার হচ্ছিল না। এখন বাংলাদেশ টেলিভিশন থেকে প্রথম প্রচার হওয়ার পর অন্যান্য টেলিভিশনও ডেঙ্গু নিয়ে ব্যাপক প্রচারণা চালাচ্ছে।

তিনি বলেন, আতঙ্ক বড় জিনিস। আতঙ্ক সৃষ্টির জন্য অনেকে আবার এটা ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে অনেক কথা বলেন। এগুলো দেখার বিষয় আছে। একদিনে মশা নিধন করতে হবে। অন্যদিকে চিকিৎসায় জোর দিতে হবে। চিকিৎসা নিয়ে বিভ্রান্তি ছিল। প্রাইভেট হাসপাতালগুলো রোগী নিতে চাচ্ছিল না। আমরা তাদেরকে বাধ্য করেছি।

‘ঢাকার দুই মেয়র এর জন্য দায়ী কি না?’-এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক এ উপদেষ্টা বলেন, মেয়ররা জনগণের ভোটে নির্বাচিত। তারা চাইলেই অনেক কিছু করতে পারেন না। মেয়র কি করলেন না করলেন তার চেয়ে বড় কথা তার অধীনন্থ কর্মচারী-কর্মকর্তারা কি করছেন। তাদের খোঁজ খবর নেওয়া। এছাড়া ওষুধ ঠিক মতো দেওয়া হয় কি না, সেটারও খোঁজ রাখতে হবে। ওষুধ ছাড়াও এক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় জিনিস হলো জনসচেতনতা বাড়ানো।

তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী, স্বাধীন, সার্বভৌম ও কার্যকর করার জন্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ক্ষমতার বাইরে থেকেও আন্দোলন করেছে। আবার সরকার গঠনের পর আইন করে বিভিন্ন সময়ে এটিকে আমরা ক্ষমতায়ন করেছি। নির্বাচন কমিশন যেন তার কাজ ঠিক মত করতে পারে এবং সবাইকে আইনের আওতায় নিয়ে এসে প্রত্যেককে নির্দেশ দিতে পারেন এবং সেগুলো যেন কার্যকর হয়। নির্বাচন কমিশনকে কার্যকর করার জন্য তারা যখন যে নির্দেশনা দেন, সেগুলো আমরা পালন করি।

এইচটি ইমাম বলেন, কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়। আওয়ামী লীগ সরকারে আছে। তাই বলে নিয়ম কানুন মানবে না কিংবা নির্বাচন কমিশনকে মানবে না এটি হতে পারে না। আমরা মানলে অন্যরাও মানবে। আমাদেরকে দেখে অন্যরা শিখবে। আমাদের দল সবচেয়ে প্রাচীন, সবচেয়ে ঐতিহ্যপূর্ণ। কাজেই আমরা কতগুলো ঐতিহ্য ও ধারা প্রবর্তন করতে চাই। সবাই যাতে নির্বাচন কমিশনের নিয়ম কানুন মেনে চলেন এটিও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার অন্যতম একটি অঙ্গ।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *