নিজস্ব প্রতিবেদক : আওয়ামী লীগ সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, জাতির জনকের সন্তান হওয়া সত্ত্বেও শেখ কামালের মধ্যে কোনো অহমিকাবোধ ছিল না। তিনি ছিলেন বিনয়ী, মার্জিত এবং পরোপকারী।
সোমবার বাংলাদেশ শিল্পকলা অ্যাকাডেমির চতুর্থ তলার অডিটোরিয়ামে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের জ্যেষ্ঠ পুত্র শেখ কামালের ৭১তম জন্মদিন উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, ৬৯-এ পাকিস্তানি সামরিক জান্তা সরকার ধর্মীয় উগ্রতার পরিচয় দিয়ে রবীন্দ্রসংগীত নিষিদ্ধ করে। শেখ কামাল তখন রবীন্দ্র সংগীত শিল্পীদের সংগঠিত করেন এবং রবীন্দ্রনাথের ‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি’ গানটি খ্যাতিমান শিল্পী জাহিদুর রহিমকে দিয়ে বিভিন্ন সভা ও অনুষ্ঠানে গাওয়ানোর উদ্যোগ নেন। বাঙালি জাতির সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ নেতার সন্তান তিনি, জন্ম থেকেইে তার ধমনিতে ছিল নেতৃত্ব গুণ আর জাতীয়তাবোধের চেতনা। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে যখন যেখানে সুযোগ পেয়েছেন, সেখানেই বিশ্বকবির গান গেয়ে অহিংস প্রতিবাদের অসাধারণ উদাহরণ রেখেছেন।
সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, দেশ স্বাধীনের পর ৭২’এ ‘আবাহনী সমাজকল্যাণ সংস্থা’ প্রতিষ্ঠা করেন। এই সংস্থার নামে সংগঠিত করেন ফুটবল দল ‘ইকবাল স্পোর্টিং’ আর ক্রিকেট, হকির দল ‘ইস্পাহানী স্পোর্টিং। পরে এসব দলের সমবায়ে নবোদ্যমে যাত্রা শুরু করে ‘আবাহনী ক্রীড়া চক্র’। ফুটবল, ক্রিকেট, হকি এই খেলাগুলোতে বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন ছিল কামালের।
তিনি আরও বলেন, ফুটবলের উন্নতির জন্য ৭৩’এ আবাহনীতে বিদেশি কোচ বিল হার্ট-কে নিযুক্ত করেন। যোগ্যতা, দক্ষতা আর দেশপ্রেমের অসামান্য স্ফুরণে শেখ কামাল অল্প দিনেই বদলে দিয়েছিলেন সদ্য স্বাধীন একটা দেশের ক্রীড়াক্ষেত্র। শুধু ক্রীড়াই নয় শিল্প সাহিত্য ও সংস্কৃতির সব শাখাতেই ছিল তার মুন্সিয়ানা ও অসামান্য সংগঠকের ভূমিকা।
যুবলীগ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মো. হারুনুর রশীদের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে প্রেসিডিয়াম সদস্য শহীদ সেরনিয়াবাত, মুজিবুর রহমান চৌধুরী, মো. ফারুক হোসেন, মাহবুবুর রহমান হিরণ, আব্দুস সাত্তার মাসুদ, মো. আতাউর রহমান, অধ্যাপক এবিএম আমজাদ হোসেন, শাহজাহান ভূইয়া মাখন, মো. আনোয়ারুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক, মহিউদ্দীন আহমেদ মহি, সুব্রত পাল, সাংগঠনিক সম্পাদক, মুহা. বদিউল আলম, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য কাজী আনিসুর রহমান, মিজানুল ইসলাম মিজু প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।