!! দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিট হতে মঙ্গলবার ৮ টি অভিযোগের বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে এবং ৩ টি অভিযান পরিচালনা করা সহ ৫ টি দপ্তরে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে !!
বিশেষ প্রতিবেদক ঃ দুর্নীতি দমন কমিশন, সমিন্বত জেলা কাযালয়, খুলনার সহকারী পরিচালক মোঃ আল-আমীন-এর নেতৃত্বে বাগেরহাট জেলার মোরেলগঞ্জ উপজেলার ১৩ নং নিশানবাড়ীয়া ইউপির চেয়ারম্যান আবদুর রহিম বাচ্চুর বিরুদ্ধে বিদ্যৎ লাইন সংযোগ, মিনি খাম্বা স্থাপন, নাগরিকত্ব সনদ প্রদানে টাকা গ্রহণ, জন্ম নিবন্ধন সনদ প্রদানে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগে মঙ্গলবার একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালিত হয়েছে। অভিযানকালে টিম সরেজমিনে উক্ত ইউনিয়ন পরিষদ পরিদর্শন করে এবং অভিযোগ প্রসঙ্গে চেয়ারম্যানের বক্তব্য রেকর্ড করে। জন্ম নিবন্ধনের আবেদন পর্যালোচনা করে এবং সেবাগ্রহিতাদের সাথে ফোনে কথা বলে টিম জানতে পারে যে, তাদের থেকে জন্ম নিবন্ধনের সনদ প্রদানে নিধারিত ফি অপেক্ষা অতিরিক্ত অর্থ নেওয়া হয়েছে। উক্ত পরিষদ কর্তৃক মার্কেট তৈরি সংক্রান্ত নথিপত্র সংগ্রহপূর্বক তা পর্যালোচনা করে কমিশন বরাবর দ্রত প্রতিবেদন দাখিল করবে এনফোর্সমেন্ট টিম।
খাদ্য গুদাম, বাবুগঞ্জ, বরিশাল-এর খাদ্যগুদাম কর্মকর্তার বিরুদ্ধে খাদ্য গুদাম হতে সরকারি চাল কালােবাজারির মাধ্যমে বিক্রয়পূর্বক অর্থ আত্মসাতের অভিযােগে মোহাম্মদ শাহজাহান মিরাজ, সহকারী পরিচালক, দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, বরিশাল-এর নেতৃত্বে তথ্যানুসন্ধান পরিচালিত হয়। তথ্যানুসন্ধানে, জানা যায় উক্ত অভিযোগের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, বাবুগঞ্জ, সহকারী কমিশনার (ভূমি), বাবুগঞ্জ, পুলিশ পরিদর্শক, বাবুগঞ্জ; উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা, বাবুগঞ্জ এবং উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক, রুবিনা পারভীন গত ৬ জানুয়ারি, বাবুগঞ্জ খাদ্য গুদামে প্রবেশ করেন। গুদামে (১) ৮০০ বস্তা ২০ মে.টন ‘ডলফিন মার্কা বাজারের সেরা মিনিকেট চাল’ (২) ‘জোড়া কবুতর মার্কা বাজরের সেরা মিনিকেট চাল’ এবং ‘ডলফিন মার্কা বাজারের সেরা মিনিকেট চাল’ এর ১০০০টি খালি বস্তা (৩) সরকারি চালের ৫১০ টি খালি বস্তা প্রাপ্ত হন। বাবুগঞ্জ থানার জিডি নং ২২৮, তাং ০৬/০১/২০২২ মূলে বর্ণিত চাল ভর্তি ও খালি বস্তাসমূহ জব্দ করা হয়। গুদামে বেসরকারী বস্তায় চাল এবং খালি বস্তা প্রাপ্তির বিষয়ে জনাব রুবিনা পারভীন উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক, বাবুগঞ্জ বাদী হয়ে খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফরিদা খাতুন সহ ৫ জনের বিরুদ্ধে বাবুগঞ্জ থানায় এজাহার প্রেরণ করলে বাবুগঞ্জ থানা কর্তৃক ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে কালোবাজারি ও মজুদদারী চেষ্টার অপরাধে বাবুগঞ্জ থানা মামলা নং- ০২, তাং ৭/০১/২০২২ রুজু করেন। বর্তমানের মামলাটি বাবুগঞ্জ থানা কর্তৃক তদন্তাধীন রয়েছে।
সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা যায়, উল্লিখিত অভিযোগের বিষয়ে আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক, বরিশাল বিভাগ কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটি গত ১৩ জানুয়ারি, সরেজমিন পরিদর্শনে এবং গননায় গুদামের রক্ষিত চাল এবং ধানের পরিমান গুদামের স্টক রেজিস্ট্রারের সাথে মিল প্রাপ্ত হয়েছেন। তবে উক্ত কমিটি গত ৬ জানুয়ারি, জব্দকৃত (১) ৮০০ বস্তা ২০ মে.টন “ডলফিন মার্কা বাজরের সেরা মিনিকেট চাল” (২) ‘জোড়া কবুতর মার্কা বাজরের সেরা মিনিকেট চাল’ এবং ‘ডলফিন মার্কা বাজরের সেরা মিনিকেট চাল’ এর ১০০০টি খালি বস্তা (৩) সরকারি চালের ৫১০টি খালি বস্তা (৫০ কেজি ওজনের) প্রাপ্ত হন গুদামের স্টক রেজিস্ট্রারের অতিরিক্ত হিসাবে প্রাপ্ত হয়েছেন। সরকারি গুদামে ৮০০ বস্তা ২০ মে.টন “ডলফিন মার্কা বাজরের সেরা মিনিকেট চাল”, (২) ‘জোড়া কবুতর মার্কা বাজরের সেরা মিনিকেট চাল’ এবং ‘ডলফিন মার্কা বাজরের সেরা মিনিকেট চাল’ এর ১০০০টি খালি বস্তা (৩) সরকারি চালের ৫১০টি খালি বস্তা (৫০ কেজি ওজনের)অতিরিক্ত প্রাপ্তির বিষয়ে গুদামের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্টদের নিকট হতে কোন সদুত্তর পাওয়া যায়নি। উল্লেখ্য অভিযোগ সংশ্লিষ্ট গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফরিদা খাতুন বাবুগঞ্জ থানার মামলা নং- ০২, তাং- ০৭/০১/২০২২ মূলে গ্রেফতার হয়ে জেল হাজতে আছেন।
সরেজমিন পরিদর্শনকালে বাবুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এবং আশপাশের লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফরিদা খাতুন বিভিন্ন কর্মসূচীতে বরাদ্দকৃত চাল প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি ও ডিলারদের বিতরণের সময় ওজনে কম দিয়ে উক্ত চাল মজুদ করেছেন। মজুদকৃত চাল বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে জোড়া কবুতর এবং ডলফিন মার্কা বস্তায় প্যাকেটজাত করেছেন।
বাবুগঞ্জ উপজেলা খাদ্য গুদামের ভরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফরিদা খাতুন ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি, ডিলারদের অনুকূলে বরাদ্দকৃত চাল কম দিয়ে আত্মসাতকৃত চাল নিজ গুদামে বেসরকারি চালের বস্তায় প্যাকেটজাত করেছে। এমতাবস্থায়, অভিযানকালে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় নিয়মিত অনুসন্ধানের সুপারিশসহ বিস্তারিত কমিশনে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে হরিদাসপুর হতে চাপাইল পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণ কাজে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের অভিযােগে সরদার আবুল বাশার, সহকারী পরিচালক, দুদক, সজেকা, ফরিদপুরের নেতৃত্বে আজ আরও একটা অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এনফোর্সমেন্ট টিম কর্তৃক গোপালগঞ্জ পৌরসভাধীন হরিদাসপুর থেকে চাপাইল পর্যন্ত ৯.৯ কিমি সড়কের নির্মাণ কাজ সরেজমিনে পরিদর্শন করা হয়। অভিযানকালে দেখা যায়, বর্তমানে প্রকল্পের কাজ চলামান আছে। ইতোমধ্যে আনুমানিক ৬ কি.মি. সড়কের নির্মান কাজ সমাপ্ত হয়েছে। অভিযানকালে সরেজমিনে আরও দেখা যায়, রাস্তাটির সম্পন্ন হওয়া অংশের মধ্যে আনুমানিক ৪ কি.মি. মধুমতি নদীর তীরবর্তী। বর্ষাকালে উক্ত নদীর প্রবাহ অতিরিক্ত হওয়ায় এবং নদীর নাব্যতা বৃদ্ধির জন্য খনন কাজ করায় নদীর তীরের মাটি নদীতে সরে যাওয়ায় রাস্তার কয়েকটি স্থান ধ্বসে গেছে। রাস্তার নিচ দিয়ে স্থাপিত পৌরসভার পানির পাইপ ফেটে রাস্তার অপর একটি স্থানে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।