!! শেওড়াপাড়া এলাকা হতে টেকনাফের মূল হোতাসহ ঢাকার প্রধান ডিলার ১ কোটি ৪০ লাখ টাকা মূল্যের ৪০ হাজার ইয়াবাসহ গ্রেফতার!!
বিশেষ প্রতিবেদক ঃ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি) প্রতিষ্ঠার সূচনালগ্ন থেকেই মাদক নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে অত্যন্ত আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করে আসছে।
মাদকদ্রব্য উদ্ধর ও মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতারসহ নেশার মরণ ছোবল থেকে তরুন সমাজকে রক্ষার জন্য ঢাকা মহানগরীতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ঢাকা মেট্রোঃ কার্যালয় (উত্তর) এর জোরালো তৎপরতা অব্যাহত আছে।
এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ঢাকা বিভিাগীয় কার্যালয়ের অতিরিক্ত পরিচালক মোঃ ফজলুর রহমান এর সার্বিক নির্দেশনায়, ঢাকা মেট্রোঃ কার্যালয় (উত্তর) এর উপ-পরিচালক মোঃ রাশেদুজ্জামান এর তত্ত্বাবধোনে এবং সহকারী পরিচালক মোঃ মেহেদী হাসান, ঢাকা মেট্রোঃ কার্যালয় (উত্তর) এর নেতৃত্বে মোহাম্মদপুর সার্কেল ও উত্তরা সার্কেলের সমন্বয়ে একটি বিশেষ টিম ঢাকার ভাটারা এলাকা হতে গতকাল বুধবার ৯ ফেব্রুয়ারি, হতে অভিযান চালিয়ে
তানভির মাহমুদ (৪৭) এবং
রবিন(৩২) কে ৮০০ (আটশত) পিস ইয়াবা সহ গ্রেফতার করা হয়।
তাদের দেওয়া তথ্য উপাত্ত প্রযুক্তিগতভাবে বিশ্লেষণ করে ঢাকার পূর্ব শেওড়াপাড়া এলাকার একটি শক্তিশালী ইয়াবা ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটকে শনাক্ত করতে সক্ষম হয় এবং তাদের কার্যক্রম মনিটরিং করতে থাকে।
চক্রটির কাছে ইয়াবার একটি বড় চালান আসার বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে গতকাল বুধবার ৯ ফেব্রুয়ারি, রাত ১১ টা হতে বৃহস্পতিবার ১০ ফেব্রুয়ারি ভোর ৪.০০ টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে মোঃ ইব্রাহিম (২৮), নিজ জেলাঃ টেকনাফ কে ১০,০০০ (দশ হাজার) পিস ইয়াবা,
ইয়াকুব (২৯), নিজ জেলাঃ টেকনাফ কে ৬,০০০ (ছয় হাজার) পিস ইয়াবা,
মোঃ শামসুর আলম (৩০), নিজ জেলাঃ টেকনাফ কে ২৩,০০০ (তেইশ হাজার) পিস ইয়াবা এবং
জবা আক্তার (২৭), নিজ জেলাঃ মুন্সিগঞ্জ কে ২০০ (দুইশত) পিস ইয়াবাসহ
সর্বমোট ৪০,০০০ (চল্লিশ হাজার) পিস ইয়াবাসহ গ্রেফতার করা হয়।
ব্যবসার কৌশল
———————–
আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ইব্রাহিম, ইয়াকুব ও শামসুর আলম টেকনাফের মূল হোতা। তারা অভিনব কৌশলে টেকনাফ হতে ইয়াবার বড় চালান এনে ঢাকায় তাদের নির্ধারিত কয়েকজন লোকের মাধ্যমে মাদক সিন্ডিকেট গড়ে তোলে। এরা টেকনাফ থেকে মাদক ঢাকায় আনার ক্ষেত্রে ক্যারিয়ার হিসেবে বিভিন্ন জনকে ব্যবহার করে, নিজেরা সরাসরি বহন করতো না।
ঢাকায় একাজে তারা জবা আক্তার এর ভাড়া বাসা ব্যবহার করতো। ব্যবসার নিরাপত্তার স্বার্থে জবা আক্তার পূর্ব শেওড়াপাড়া এলাকায় ৩টি বাসা ভাড়া নেয়। বড় চালান স্টকের জন্য সে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন বাসা ব্যবহার করতো।
এনক্রিপ্টেড অ্যাপসের ব্যবহার,
——————————————
এই সিন্ডিকেটের সবাই গোপনীয়তার স্বার্থে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগের ক্ষেত্রে বিভিন্ন এনক্রিপ্টেড অ্যাপস ব্যবহার করে। তারা কোন নির্দিষ্ট ফোন নম্বর ব্যবহার করে না।
এনক্রিপ্টেড অ্যাপসসমূহ বিশ্লেষণ করে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে, যা নিয়ে আমরা অধিকতর অনুসন্ধানপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ (সংশোধিত ২০২০) মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর ঢাকা মেট্রোঃ কার্যালয় (উত্তর) কর্তৃক ভবিষ্যতে এ ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
মাদক মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত মাদকের বিরুদ্ধে ‘শূন্য সহিষ্ণুতা নীতি বাস্তবায়নে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি) বদ্ধপরিকর।