পিরোজপুর প্রতিনিধি : ডিজিটাল যুগে নীতি ও আদর্শকে উপেক্ষা করে আপন শালির সাথে অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে কলারদনিয়ায় নিন্দার ঝড় বইছে। নষ্ট প্রকতির রবিউল (২২) বিয়ের আগে থেকেই লম্পট চরিত্রের ছিল। আর সে কারণে রবিউলের পরিবার পার্শ্ববর্তী নেছারাবাদ উপজেলার বলদিয়া ইউনিয়ের গগন গ্রামের মিলনের মেয়ে মারজিয়ার সাথে বিয়ে দেন। গত তিন বছরে মারজিয়ার ঘরে একটি ছেলে সন্তান আসে। চমৎকার চলছিল সংসার আর এরই মধ্যে আবারও মারজিয়ার ঘরে নুতন মেহমান আসতেছে। অথচ স্ত্রীর সন্তান আসার সাথে সাথে মারজিয়ার ছোট বোনও (ছদ্মনাম নাম সুইটি)ও অন্তঃসত্ত্বা হয়। কুমারী বালিকার সন্তান আসার সংবাদে গগন এলাকার সকলকেই হতবাগ করে তোলে। ছদ্ম নাম সুইটি বর্তমানে চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় রয়েছেন। এসব ঘটনার জন্য সরাসরি আপন শালির জবানবন্দিতে দুলাভাই রবিউলের নাম আসে। কিন্তু মজার বিষয় বউয়ের সাথে মারজিয়ার ছোট বোনেরও চার মাসের অন্তঃসত্তার ঘটনা নিয়ে কলারদনিয়াসহ গগন গ্রামে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।
স্থানীয় এলাকাবাসীরা সাংবাদিকদের বলেন, উত্তর কলারদনিয়ার রবিউল একজন বাজে চরিত্রের যুবক। নৈতিক অবক্ষয় হয়েছে বিধায় এসব জঘন্যতম কাজ করতে লজ্জা হয়না। নারী দোষসহ তাশ ও জুয়াও মত্ত থাকতো লম্পট রবিউল। সর্বশেষ তথ্য মতে মেয়ে পরিবার বাধ্য হয়ে নেছারাবাদ থানায় গত পরশু অভিযোগসহ মামলা করেন। আর মামলার কারণে মামলার প্রধান আসামী রবিউলকে গ্রেফতার করেন। এদিকে স্থানীয় কলারনিয়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের স্থানীয় মেম্বর বলেন, মানুষ এত নষ্ট প্রকৃতির হতে পাবে। নিঃলজ্জ ও বেহায়া স্বভাবের বিদায় আজ চরম বিতর্কে জড়িয়ে রবিউল জেল হাজতে। এসব পাপীর কঠিন শাস্তি হোক। পাশাপাশি বলদিয়া ইউনিয়নের গগনের স্থানীয় মেম্বর মোঃ সোহেল সাংবাদিকদের বলেন, আসলে এটা আমার এলাকার জন্য লজ্জা। লম্পট রবিউলের কঠিন শাস্তি হোক। গগন এলাকার সুশীল সমাজের লোকজন লম্পট জামাইর কঠিন শাস্তি চায়।