নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ বর্তমান সরকারের মাদকের বিরুদ্ধে “জিরো টলারেন্স” নীতির যথাযথ বাস্তবায়নকল্পে মাঠ পর্যায়ে বিজিবি’র অভিযানিক কর্মকাণ্ড এবং গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় বিজিবি’র টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) কর্তৃক পরিচালিত পৃথক পৃথক অভিযানে ৬,৮০,২০,০০০ (ছয় কোটি আশি লক্ষ বিশ হাজার) টাকা মূল্যমানের ১.০৫৫ কেজি ক্রিস্টাল মেথ আইস ১০,০০০ পিস ইয়াবা ও একটি মোটরসাইকেলসহ একজন মাদক কারবারীকে আটক করা হয়েছে, এ খবর সংশ্লিষ্ট সুত্রের।
জানা গেছে, বুধবার ৬ জুলাই রাতে বিজিবি’র টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) গোপন সূত্রের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, অত্র ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ হ্নীলা বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ বিআরএম-১৪ হতে আনুমানিক ৩০০ মিটার উত্তরে অবরাং পোস্টের পার্শ্বে নাফ নদী দিয়ে মাদকের একটি বড় চালান মিয়ানমার হতে বাংলাদেশে পাচার হতে পারে।
উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে টেকনাফ ব্যাটালিয়নের ব্যাটালিয়ন সদর এবং হ্নীলা বিওপি’র একটি চোরাচালান বিরোধী টহলদল তাৎক্ষণিকভাবে বর্ণিত এলাকায় গিয়ে বেড়ীবাঁধের আঁড় নিয়ে গোপনে কৌশলগত অবস্থান গ্রহণ করে। টহলদল আনুমানিক রাত ১ টা ১৫ মিনিটের সময় একজন লোককে একটি ইঞ্জিন চালিত নৌকা নিয়ে মায়ানমার হতে শূন্য লাইন অতিক্রম করে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে এসে বেড়ীবাঁধের উপরে অপেক্ষারত ৩জন লোকের নিকট ১টি ব্যাগ হস্তান্তর করতঃ ইঞ্জিন চালিত নৌকাটি ঘুরিয়ে দ্রুত মায়ানমারের অভ্যন্তরে চলে যেতে থাকলে বিজিবি টহলদল চোরাকারবারিদের চ্যালেঞ্জ করে খুব দ্রুত তাদের দিকে অগ্রসর হয়।
বিজিবি টহলদলের উপস্থিতি অনুধাবন করা মাত্রই ২জন চোরাকারবারী রাতের অন্ধকারে পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও অপর একজন চোরাকারবারী ফোরকান (২৫), পিতা-মৃত মোহাম্মদ আলী, মাতা-, গ্রাম-দরগাপাড়া, পোস্ট-হ্নীলা, থানা-টেকনাফ, জেলা-কক্সবাজার’কে ধাওয়া করতঃ আটক করতে সক্ষম হয়।
তারপর টহলদল আটককৃত চোরাকারবারীর কাছে প্রাপ্ত প্লাস্টিকের ব্যাগের ভিতর হতে ৫,৫৭,৫০,০০০ (পাঁচ কোটি সাতান্ন লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা মূল্যমানের ১.০৫৫ কেজি ক্রিস্টাল মেথ আইস এবং ১০,০০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট আটক করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে আটককৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে বেড়ীবাঁধের পাশে রাখা চোরাচালানের কাজে ব্যবহৃত ২,৯৮,০০০ (দুই লক্ষ আটানব্বই হাজার টাকা) মূল্যমানের ১টি মোটরসাইকেলও জব্দ করতে সক্ষম হয়।
উল্লেখ্য, আটককৃত ব্যক্তি এবং পলাতক অপর ২ জন বাংলাদেশী নাগরিকের বিরুদ্ধে জব্দকৃত ক্রিস্টাল মেথ আইস, ইয়াবা ট্যাবলেট এবং মোটরসাইকেলসহ নিয়মিত মামলার মাধ্যমে টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।