নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতার লোভে এবং ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে যেসব ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে তা ছিল একটির চাইতেও আরেকটি ভয়ংকর অপরাধ। যা দেশবাসীর কখনই ভুলে যাওয়া সম্ভব নয়।
বিগত বছরগুলোর তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ২০১৩ সালে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ করার জন্য বিএনপির পক্ষ থেকে জামায়াত-শিবির সমর্থকরা আগুনসন্ত্রাস সৃষ্টি করে প্রায় ৪১৯টি প্রধান ঘটনা ঘটায়।
এতে ৪৯২ জন নিহত হয় এবং ২২০০ জন আহত হয়।
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের বিরোধিতা করে বিএনপি-জামায়াত জোট সন্ত্রাসের রাজত্ব শুরু করে।
তারা সে সময় শত শত যানবাহন ভাঙচুর করে সেগুলোতে আগুন ধরিয়ে দেয়। ওই ঘটনায় তাদের পেট্রোল বোমা, হাতে বানানো বোমা এবং অন্যান্য সহিংসতায় ২০জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যসহ ২’শ জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারায়।
পরের বছর ২০১৫ সালের ৪ জানুয়ারি নির্বাচনের এক বছর পূর্তির দিন আবারও জ্বালাও-পোড়াও শুরু করে সন্ত্রাসের রাজত্ব শুরু করে বিএনপি-জামায়াত জোট। তাদের অগ্নিসন্ত্রাসে মারা যায় ২৩১ জন। যাদের বেশিরভাগই পেট্রোল বোমা এবং আগুনে দগ্ধ হয়ে নিহত হন।
আহত হন আরও ১ হাজার ১৮০ জন। সে সময় ২,৯০৩টি গাড়ি, ১৮টি রেলগাড়ি এবং ৮টি যাত্রীবাহী জাহাজে আগুন দেয় বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা।এছাড়াও তাদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয় সরকারি অফিসগুলো। সেসময়ে বিএনপি-জামায়াতের ভাঙচুর এবং আগুনে পুড়ে ৬টি ভূমি অফিসসহ ৭০টি সরকারি কার্যালয় ছাই হয়ে যায়।
ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বিএনপি বারবার প্রমাণ করেছে তারা দেশের জনগণের জন্য নয়, রাজনীতি করে ক্ষমতার লোভে। তারা অতীতে যে অপকর্ম করেছে তা দেশবাসী ভোলেনি। ভুলবেও না কোনোদিন। যারা ক্ষমতার লোভে দেশের সাধারণ মানুষকে পুড়িয়ে মারতে পারে তারা কোনোদিন দেশ ও দশের ভালো চায় না। এটা জনগণ জানে। তাই বিএনপি-জামায়াতকে বয়কট করেছে দেশের মানুষ।