কালো তালিকাভুক্ত ৩০ জনের বিষয়ে সতর্ক করেছে ইসি

অপরাধ আইন ও আদালত এইমাত্র জাতীয়

নিজস্ব প্রতিবেদক : রোহিঙ্গাদের ভোটার করার জালিয়াতিতে চাকরিচ্যুত কিছু কর্মচারীর সম্পৃক্ততা পাওয়ার পর ‘কালো তালিকাভুক্ত’ ৩০ জনের বিষয়ে সতর্ক করে মাঠ পর্যায়ের নির্বাচন কর্মকর্তাদের চিঠি দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের সুনাম অক্ষুন্ন রাখতে ‘কালো তালিকাভুক্ত’ কাউকে ইসি ও মাঠ পর্যায়ের কোনো কাজে সম্পৃক্ত না করতে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে বর্তমানে কর্মকর্তা ডেটা এন্ট্রি অপারেটরদের বিষয়ে মূল্যায়নসহ কোনো অভিযোগ বা পরামর্শ থাকলে জানাতে আঞ্চলিক, জেলা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের আলাদা চিঠি দেওয়া হয়েছে। এনআইডি উইং মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম সোমবার সংবাদ সম্মেলনে জানান, নির্বাচন কমিশন ও এনআইডি উইংয়ে শুদ্ধি অভিযান চলছে। চাকরিচ্যুতের তালিকা করা হয়েছে। যারাই সম্পৃক্ত থাকুক, তাদেরকে শাস্তি দেওয়া হবে। এরপরই আইডিইএ প্রকল্পের উপপরিচালক মো. নুরুজ্জামান খান এ-সংক্রান্ত দুটি মাঠ পর্যায়ে পাঠান। চাকরির মেয়াদ বাড়ানো হয়নি ও চাকরিচ্যুত ৩০ প্রকল্পকর্মীকে মাঠ পর্যায়ে কোনো কাজে সম্পৃক্ত না করার জন্য বলেছে আইডিইএ প্রকল্প। তারা হলেন-
সাবেক টেকনিক্যাল এক্সপার্ট: মুন্সী সানজিদ বিন একলিম স্বাথীন, এস এম রকিবুজ্জামান নিয়ন, খান মো. ওবাইদুল্লাহ, মো. আবদুল্লাহ-আল-মারুফ, মোহাম্মদ সাদেক হোসাইন, মোহাম্মদ জাকির হোসাইন।
সাবেক টেকনিক্যাল সাপোর্ট: মো. ইয়াসির আরাফাত, মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, মো. ইকবাল হোসাইন, মির্জা আসিফ ইবনে আশরাফ।
সাবেক ডেটা এন্ট্রি অপারেটর: মো. আবু বক্কর সিদ্দিক, মারজিয়া আক্তার লিজা, শেখ সেলিম শান্ত, মো. সোলায়মান, মো. জামাল উদ্দিন, মো. সাবেদুল ইসলাম, মাহমুদুল ইসলাম, মো. জাকির হোসেন, মো. বাবুল আহমেদ, মো. আবদুল জলিল মিয়া, মো. ইকবাল হোসেন, রবিউল করিম, সুব্রত কুমার বিশ্বাস, সুমন দেব, মি. ইউসুফ আলী চৌধুরী, মি. ইকবাল আহমেদ, মো. তারিক আজিজ, মো. মোস্তফা ফারুক, সুতপা রানী।
সাবেক মেসেঞ্জার: মো. আশিকুল ইসলাম পিন্টু।
বর্তমানে ইসির এ প্রকল্পে ১১৩০ জন কর্মরত রয়েছে। কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলে দ্রুত তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সোমবার বিকালে ঢাকা নির্বাচন কমিশন কার্যালয় থেকে প্রকল্পের টেকনিক্যাল এক্সপার্ট শাহানুর মিয়া নামে একজনকে আটক করা হয়। তাকে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে এনে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গত মঙ্গলবার এনআইডি জালিয়াতির মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। রোববার চট্টগ্রাম নির্বাচন অফিসের ডেটা এন্ট্রি অপারেটর মো. শাহীন, জাহিদ হাসান ও পাভেল বড়ুয়াকে গ্রেফতার করে কাউন্টার টেররিজম ইউনিট। এর আগে জয়নাল আবেদীন নামে চট্টগ্রাম নির্বাচন কার্যালয়ের এক অফিস সহায়ক ও মোস্তফা ফারুক নামে প্রকল্পের অধীনে কর্মরত এক টেকনিক্যাল সাপোর্ট স্টাফকে গ্রেফতার করা হয়।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *