নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ সরকারি গাড়িতে ফেনসিডিল বহনের অভিযোগে গাজীপুর সড়ক উপ-বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোসা. ফেরদৌসী বেগমকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে কেন বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে না তা জানতে সাত দিনের মধ্যে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে কারণ দর্শনোর জন্য বলা হয়েছে।
সোমবার (২৩ আগস্ট) সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী স্বাক্ষরিত এক পত্রে তাকে সাময়িক বরখাস্তের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
জারিকৃত প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে, সোমবার (২২ আগস্ট) একটি বেসরকারি টেলিভিশনের (যমুনা টেলিভিশন) সংবাদে দেখা যায় যে, নির্বাহী প্রকৌশলী সড়ক বিভাগ, গাজীপুরের নামে রেজিস্ট্রেশনকৃত গাড়ি (ঢাকা মেট্রো-ঘ-১১-২৮৪৫) ১৩১ বোতল ফেনসিডিল বহনকালে গত ১৯ আগস্ট কুমিল্লা জেলায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্তৃক আটক হয়।
আটককৃত গাড়িটি মোসা. ফেরদৌসী বেগম, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী, গাজীপুর সড়ক উপ-বিভাগ সরকারি বাহন হিসেবে ব্যবহার করেন।
অনুমতি ব্যতীত জেলার বাইরে গাড়ি চালানোর বিষয়টি এ পর্যন্ত কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়নি। নির্বাহী প্রকৌশলী গাজীপুরের নিকট টেলিফোনে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি এর সত্যতা স্বীকার করেন।
এতে প্রতীয়মান হয়, মোসা. ফেরদৌসী বেগম উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী, গাজীপুর এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত। যা সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ২০১৮ এর ২ (খ) অনুযায়ী অসদাচরণের শামিল। তদন্ত শেষে প্রমাণিত হলে ৩(খ) ও ৪ (৩) অনুযায়ী গুরুদণ্ড আরোপযোগ্য।
২নং কলামে বলা হয়েছে, সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ২০১৮ এর ১২ (১) এর বিধি মোতাবেক মোসা. ফেরদৌসী বেগম (৩৫০০১৫) উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী (চলতি দায়িত্ব), সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর, সড়ক উপ-বিভাগ গাজীপুরকে চাকরি থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হল। সাময়িক বরখাস্তকালে প্রচলিত বিধি মোতাবেক তিনি খোরাকি ভাতা প্রাপ্য হবেন বলে চিঠিতে বলা হয়েছে।
এছাড়াও একই দিন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের উপ-সচিব মোহাম্মদ শের মাহমুদ মুরাদ স্বাক্ষরিত একটি পত্রে বলা হয়েছে, কর্মস্থলের বাইরে কুমিল্লা জেলায় মাদক বহনকালে নিয়ন্ত্রণাধীন সরকারি গাড়ি ও তার চালক আটক হওয়ায় সংশ্লিষ্ট অফিসের প্রধান হিসেবে নির্বাহী প্রকৌশলীর দায়িত্ব পালনে তিনি ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন।
এমতাবস্থায় সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ অনুযায়ী কর্তব্য পালনে অবহেলা প্রদর্শনের কারণে ২ (খ) অনুযায়ী অসদাচরণের অভিযোগে কেন তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে না-এ জন্য আগামী সাত দিনের মধ্যে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে কারণ দর্শানোর জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।