মো:রফিকুল ইসলাম,নড়াইলঃ
নড়াইলে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও জেলা আওয়ামী-লীগের সাবেক সহসভাপতি শেখ আবু তালেবে (৭৫) এর রহস্যজনক মৃত্যু। (১৬ নভেম্বর) বুধবার রাত সাড়ে ১১টায় কালিয়া উপজেলার গন্ধবাড়িয়া গ্রামের অব্দার (বেড়িবাঁধ) ড্রেন থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
মুক্তিযোদ্ধা শেখ আবু তালেব উপজেলার নড়াগাতি থানাধীন মাউলি ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামের মৃত মোজাম শেখের ছেলে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,নিহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু তালেব প্রতিদিনের ন্যায় সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বের হন। দীর্ঘ সময় বাড়িতে না ফেরায় পরিবারের লোকজন ও স্থানীয়’রা খোঁজাখুঁজি করেন এবং মসজিদের মাইকে নিখোঁজের বিষয়টি ঘোষণা করেন। খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে তার বাড়ি থেকে আধা কিলোমিটার দূরে গন্ধবাড়িয়া গ্রামের সড়কের পাশে অব্দার ড্রেনে একটি মরদেহ দেখতে পান। পরবর্তীতে নড়াগাতি থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে। মাউলি ইউনিয়ন পরিষদের ৫নং ওয়ার্ডের সদস্য আশরাফুল আলম বলেন,ইসলামপুর ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা’র ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের নির্বাচন হয় ১৪ নভেম্বর। নির্বাচনে একটি প্যানেলের সভাপতি প্রার্থী ছিলেন,বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আবু তালেব। অন্য প্যানেলের সভাপতি প্রার্থী ছিলেন,তবিবুর রহমান মন্ডল। ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের নির্বাচনে আবু তালেবের প্যানেল জয় লাভ করে। এ নিয়ে নির্বাচনের দিন একটু বিশৃঙ্খলা হয়। বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) মাদ্রাসা’র পূর্নাঙ্গ ম্যানেজিং কমিটির গঠন করার শেষ দিন। আবু তালেব পূর্বে মাদ্রাসা’র এডহক কমিটির সভাপতি ছিলেন। নির্বাচনে তার প্যানেল জয়লাভ করায় তিনিই আবার সভাপতি হতেন। তিনি আবারও যাতে সভাপতি হতে না পারেন,প্রতিপক্ষ প্যানেলের লোকজন শত্রুতার কারণে তাকে হত্যা করে থাকতে পারে বলেও জানান।
মাউলি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রোজি হক বলেন,গ্রাম্য কোনো কোন্দল পূর্বে ছিল না,মাদ্রাসা’র ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনকে ঘিরে বেশ কয়েকদিন ধরে দুই প্যানেলের মধ্যে দ্বন্দ্ব বিরাজ করছিল। এর মধ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আবু তালেবের এমন মৃত্যু সত্যিই দুঃখজনক। নড়াগাতি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকান্ত সাহা বলেন,খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আবু তালেবের মরদেহ উদ্ধার করেছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ নড়াইল সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে হত্যা নাকি স্বাভাবিক মৃত্যু কিছুই বলা যাচ্ছে না। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ বলতে পারব। জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। বিশৃঙ্খলা এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।