ভোলায় গুলিবিদ্ধ ৩০ জন শেরেবাংলা মেডিকেলে

অপরাধ এইমাত্র বরিশাল সারাদেশ

বরিশাল প্রতিনিধি : ফেইসবুকে নবীজীকে অবমাননা করে পোস্ট দেয়ার প্রতিবাদে ভোলার বোরহানউদ্দিনে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে বাধা দেয়ায় পুলিশের সাথে জনতার সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ৩০ জনকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।


বিজ্ঞাপন

রোববার বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ভর্তিকৃতরা হচ্ছেন, বোরহানউদ্দিনের মিজানুর রহমান, ইউনুস, নান্টু, মাকসুদুর রহমান, তানভীর, ওয়ালিউল্লাহ, সিদ্দিক, আবু তাহের, শামীম, সোহরাব, আল আমিন, জামাল, আবুল কালাম, কবির, আলাউদ্দিন, সোহেল, হান্নান, রিয়াজ, ইমাম হাসান, নুরুল ইসলাম, রকিব, মনির, রাকিব, হাসিব, তাজুল ইসলাম, মুন্না ও সুজন।


বিজ্ঞাপন

আহতরা জানান, রোববার বেলা ১১টায় বোরহানউদ্দিন ঈদগাহ ময়দানে সমাবেশের আয়োজন করা হয়। পুলিশ সমাবেশের অনুমতি না দিলেও স্থানীয়রা সমাবেশ শেষ করে শুরুরস্থলে এসে জড়ো হলে পুলিশ ওই স্থান ত্যাগ করতে বলে। এ সময় কে বা কারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট নিক্ষেপ করে। পুলিশ রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে।

ওই সংঘর্ষে অন্তত চারজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বোরহানউদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুজনের মৃত্যু হয়। তারা হলেন- মিজান (৪০) ও মাফুজ পাটোয়ারী (৪৫)। অপরজন মারা যান ভোলা সদর হাসপাতালে। এছাড়া দুপুর আড়াইটার দিকে আব্দুল গণি নামের আরও একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

ভোলার সিভিল সার্জন রথীন্দ্রনাথ মজুমদার চারজন নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বোরহানউদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুজনের মরদেহ এবং সদর হাসপাতালে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির মরদেহ রাখা হয়েছে। পরে আব্দুল গণি নামের আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে।

ভোলা জেলা পুলিশ সুপার সরকার মো. কায়সারও চারজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, অনুমতি ছাড়াই তারা সমাবেশ করতে চেয়েছিল। আমরা তাদের দ্রুত শেষ করতে বলি। কিন্তু তারা কথা না শুনে উল্টো আমাদের ওপর হামলা চালায়। একপর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গুলি ছুড়তে বাধ্য হই আমরা।

এ ব্যাপারে ডিআইজি শফিকুল ইসলাম বলেন, বোরহানউদ্দিনে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে বরিশাল থেকে অতিরিক্ত পুলিশ পাঠানো হয়েছে।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *