নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর হাজারীবাগ থানা এলাকায় অভিযানে গিয়েছিল বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। তবে অভিযান না করেই ফিরে এসেছেন দায়িত্বরত ম্যাজিস্ট্রেট এরশাদ মিয়া। অভিযোগের ভিত্তিতে বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে হাজারীবাগের ভাগলপুর এলাকায় ডেইন্টি ডেইরী ফার্ম নামের একটি প্রতিষ্ঠানে অভিযানে যায় নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের অভিযানিক টিম।
তবে অভিযানের খবরে ফার্মের গেটে তালা লাগিয়ে পালিয়ে যায় কারখানার মালিক। পরে উপস্থিত কাউকে না পেয়ে ফিরে আসেন নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের ম্যাজিস্ট্রেট এরশাদ মিয়া।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ডেইন্টি ডেইরী ফার্ম নামের এই প্রতিষ্ঠানে দুধ ছাড়াই তৈরি করা হতো ডেইন্টি মিষ্টি দই, টক দই, মাঠা, লাবান, রসমালাই, ক্ষীরমোহন, ফিরনিসহ বিভিন্ন খাদ্যপণ্য।
অভিযানে গিয়ে দেখা যায়, একটি ভবনের তৃতীয় তলায় একটি ফ্ল্যাট ভাড়া করে দীর্ঘ দুই বছর ধরে এই ফার্মের ব্যবসা চালিয়ে আসছিলেন শরীফ, সজিব নামের দুই ভাই। যুব উন্নয়ন থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে চাকরি না পেয়ে এই ব্যবসা শুরু করেন তারা। নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের ম্যাজিস্ট্রেট ভবনের তৃতীয় তলায় গিয়ে দেখেন দরজায় তালা লাগানো। পরে কাউকে না পেয়ে ফিরে আসেন।
ভবনের কেয়ারটেকারের দায়িত্বে থাকা রিনা নামের এক নারী জানান, দীর্ঘ দুই বছর ধরে একটি ফ্ল্যাট ও ভবনের সামনের একটি দোকান নিয়ে এই ব্যবসা করছেন দুই ভাই। তারা দুধ দিয়ে বিভিন্ন খাদ্যপণ্য তৈরি করেন। তাদের ফ্ল্যাটের কোনো চাবি তার কাছে নেই।
ভবনের নিচতলার ভাড়াটিয়া একজন শিক্ষক। তিনি জানান, এই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে তা সত্য নয়। প্রতিদিন গরুর দুধ এনে এখানে বিভিন্ন খাদ্যপণ্য তৈরি করা হয়। গরুর দুধের সংকট থাকলে বিভিন্ন কোম্পানির প্যাকেটজাত তরল দুধ দিয়ে এসব তৈরি করতো। তবে কখনই পাউডার বা অন্য কিছু দিয়ে তৈরি করতো না। আমরা প্রায়ই তাদের কাছ থেকে দই, মাঠা নিয়ে খাই। কোনো সমস্যা হয়নি।
অভিযানের খবরে তালা লাগিয়ে পালালো কেন? এমন প্রশ্নে তিনি জানান, আমরা যতটুকু জানি তাদের এই ব্যবসা করার লাইসেন্স আছে। তাহলে পালালো কেন তা বলতে পারছি না।
অভিযান না করে ফিরে যাবার বিষয়ে দায়িত্বরত ম্যাজিস্ট্রেট এরশাদ মিয়া গণমাধ্যমকে কোনো বক্তব্য দেননি। অভিযানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মেট্রোপলিটনের নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা মেহরীন যারিন তাসনিম।