নিজস্ব প্রতিবেদক : ২০ নং ওয়ার্ডের (সাবেক ৫৬) সবেক সভাপতি, যুবলীগ ঢাকা মহানগরের সহ সম্পাদক পরিচয় দিয়ে চলছে শেখ সাইদুর রহমান বাবু ওরফে লেংড়া বাবুর ক্যাসিনো ব্যবসা। লেংড়া বাবু সচিবালয়ে ঝাড়ুদার এর চাকুরী করে। যুবলীগের পদে থাকার পরও সরকারী চাকুরী করে সে। যদিও সে নিজে ডিউটি করে না ক্ষমতার দাপটে বদলী দিয়ে কাজ করায়। তার নামে অভিযোগ গুলিস্তান বেল্ট পট্টির ২৮ টিদোকান সে নিয়ন্ত্রন করে। গুলিস্তান ইম্পেরিয়াল হোটেলের সামনের ফুটের দোকানের চাঁদা উঠায় সে। ক্যাসিনো গুরুএনামুল হক আরমানে সাথে পল্টনের প্রীতম জামান টাওয়ার এর ৬ তলায় ফ্লাট ভাড়া নিয় জুয়ার আড্ডা চালায় সে। যা সামছুনামের এক ব্যাক্তি দেখাশোনা করে। সেগুনবাগিচায় মৎস্য ভবন ও ওয়াসার ড্রেনেজ শাখার টেন্ডার সে নিয়ন্ত্রন করে। এ ডিপার্টমেন্টের ঠিকাদাররদের সাথে কথা বলে জানা যায় টেন্ডার বের হলে লেংড়া বাবু মৎস্য ভবনের নিচে চতুর্থ শ্রেণী কর্মচারী সমিতিতে বসে টেন্ডার নিয়ন্ত্রন করতো। মৎসের একটি প্রকল্প এর পরিচালক নাম না প্রকাশ করার শর্তে এই ব্যাপারে অনেক তথ্য দেন। তিনি বলেন ২০১৫ সাল থেকে এই লেংড়া বাবু, মহসিন, জাসদ মিজান, আরিফ, সামির অত্যাচারে আমরা অতিষ্ঠ ছিলাম। ইতিমধ্যে যে কোন টেন্ডারে তারা প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া দিতো। তাদের অনুমতির বাহিরে কোন প্রতিষ্ঠান টেন্ডার ড্রপ করলে যুবলীগের সেগুনবাগিচার ইউনিটের অফিসে ধরে নিয়ে নির্যাতন করতো।
ময়মনসিংহ অঞ্চলের একজন ঠিকাদার বলেন, ২০১৭ তে আমার অঞ্চলের একটি কাজে আমি টেন্ডার ড্রপ করতে গেলে এই লেংড়াবাবু, মহসিনের নেতৃত্বে আমার সিডিউল ছিনিয়ে নেয় এবং আমাকে মারধর করে। আমার পে অর্ডার টি ফেরত চাইলে আমাকে ধাক্কা দিয়ে বের করে দেয়। অনেকে তখন উপস্থিত ছিলেন কেউ তাদের ভয়ে সাহায্যের জন্য আসেন নাই। জাসদ মিজন ও বাবু একসাথে কাজ করতো। তাদের প্রতিষ্ঠানকে ইতিমধ্যে ব্লাক লিষ্ট করা হয়েছে। সেগুনবাগিচা ইউনিট যুবলীগের এক কর্মীর সাথে কথা হয়।
তিনি বলেন, লেংড়া বাবু এই ওয়ার্ডের যুবলীগের সভাপতি ছিল এখন সে মহানগর নেতা পরিচয় দেয়। সে এখোনো সেগুনবাগিচা পল্টনের চোরাই গাড়ির ব্যবসা নিয়ন্ত্রন করে। সম্রাট এর কাছের লোক তাই বর্তমান সভাপতিও তাকে কিছু বলতে পরে না। ফুলবাড়িয়া রেলওয়ে কলোনীর ভিতরে ইয়াবা ব্যবসা সে নিয়ন্ত্রন করে। গুলিস্তান পুরান বাজারের ট্রড সেন্টারের গাড়ি পার্কিং ভেঙ্গে সে জোর করে দোকান করে দখল করে। লেংড়া বাবু ওরফে শেখ সাইদুর রহমান বাবু সেগুনবাগিচা, গুলিস্তান, ফুলবাড়িয়ার ত্রাস।