!! ফলোআপ !!
নিজস্ব সংবাদদাতা: ঢাকার অদুরে গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ থানার নাগরী ইউনিয়নের উলুখোলা পুলিশ ফাঁড়ির অতি সন্নিকটে অবস্থিত এম এল এম প্রতিষ্ঠান দি কোÑঅপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লীগ অব বাংলাদেশ লি:(কালব) এর মালিকানাধিন রিসোর্ট এন্ড কনভেনশন হল।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ দিকে ভেজাল মদপান করে রিসোর্টের স্টাফ ইগ্নাসিওস রোজারিও এবং খোরশেদ আলম এর মৃত্যু হয়েছে এবং একজন গুরুতর অসুস্থ্য হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধিন থেকে সুস্থ্য হয়ে ফিরেছে।উক্ত রিসোর্টে অনেক দিন ধরেই ভেজাল মদ বিক্রির অভিযোগ রয়েছে। অথচ এই বিষয়ে কালীগঞ্জ থানা পুলিশ ও উলূখোলা পুলিশ ফাঁড়ি কিছুই জানেনা বলে দাবি করছেন। রহস্যজনক কারনে অপমৃত্যুর মামলাও হয়নি।
প্রতিবেদকদের সাথে আলাপকালে কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন-তিনি এই বিষয়ে কিছুই জানেন না। কারন তিনি নতুন জয়েন করেছেন।স্থানীয় উলুখোলা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মধুসুধন পান্ডে ও এএসআই মোয়াজ্জেম হোসেন কৌশলে বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে বলেন,আসলে কালবের রিসোর্টের ভিতরে কি হয় না হয় তা আমাদের জানার সুযোগ নেই।
আমাদের রিসোর্টে এক্সেসের কোন সুযোগ হয়না। তবে কালীগঞ্জ থানার একজন পুলিশ সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন,মদপানে মৃত্যুর বিষয়টি আমরা শুনেছি। কালব কর্তৃপক্ষ নিহতদের পরিবারকে আর্থিক ক্ষতিপুরন দিয়ে সমঝোতা করায় পরিবারের পক্ষ থেকে কোন মামলা হয়নি।
অবশ্য বাড়ির মালিক প্রদীপ নাগ এই প্রতিবেদক কে বলেন-আমার বাড়ি কালব রিসোর্টের স্টাফদের থাকার জন্যে ভাড়া নিয়েছে। এখন বাসায় তারা মদ খায় না বিক্রি করে তা আমি জানি না। তবে একজনের অনস্পট মৃত্যু হয়েছে। বাকিদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল-এটা আমি শুনেছি। রিসোর্ট কর্তৃপক্ষ থানা পুলিশ” ম্যানেজ ”করার কারনে অপমৃত্যুর মামলা হয়নি বলে একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানাগেছে।
কালব ও এলাকাবাসি সূত্রে জানাগেছে,রিসোর্টে মদ বিক্রির লাইসেন্স থাকলেও নিয়ম অনুযায়ী পর্যটন কর্পোরেশনের মাধ্যমে এখন পর্যন্ত কোন মদ সংগ্রহ করা হয়নি। রিসোর্টের স্টাফদের একটি গ্রুপ কালোবাজার থেকে নি¤œমানের ভেজাল মদ সংগ্রহ করে বিক্রি করতো।
এই কালোবাজারি মদের ব্যবসার সাথে স্থানীয় কয়েকজন মদের কারবারি, কালবের জেনারেল ম্যানেজার,রিসোর্টের সি.ই.ও. এবং পদস্থ কতিপয় কর্মকর্তা জড়িত। মদপানে মৃতের একজন জেনারেল ম্যানেজারের আত্মীয়।
কালব রিসোর্ট সংলগ্ন প্রদীপ নাগের বাসায় কালোবাজারের ভেজাল মদ সংগ্রহ করে রাখতো। রিসোর্টের এ্যানেক্স ভবন হিসেবে ভাড়া করা প্রদীপ নাগের এই বাড়িতে নিহত দু’জন সহ রিসোর্টের সকল স্টাফ বসবাস করে। এখান থেকেই মদ রিসোর্টে কাস্টমারদের সরবরাহ করা হতো।
৩ জন স্টাফ এই ভেজাল মদপান করেই অসুস্থ হয়ে পড়ে। একজনের স্পটেই মৃত্যু হয়,আরেক জনের হাসপাতালে আইসিইউতে মৃত্যু হয়। অন্যজন বমি করার সুবাদে প্রাণে রক্ষা পায়। ঘটনার পর কালবের কর্মকর্তারাই ঘটনাস্থল থেকে ৮ কেজি ভেজাল ও নিম্নমানের মদ উদ্ধার করেছে বলে জানাগেছে।
সূত্রমতে,কালব কর্তৃপক্ষ প্রশাসন ম্যানেজ করায় থানায় কোন মামলা হয়নি। অতিগোপনে মৃতদের লাশ গ্রামের বাড়ি বগুড়া ও নাটোরে পাঠিয়ে দেয়। পরিবার যাতে কোন মামলা না করে সেজন্যে কালবের পক্ষ থেকে মৃতদের পরিবারকে মোটা অংকের টাকা প্রদান করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানাগেছে।
এবিষয়ে বক্তব্য জানার জন্যে জেনারেল ম্যানেজার প্যাট্রিক পালমার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।