মহসীন আহমেদ স্বপন : নেতৃত্বে আসতে হলে ত্যাগের মনোভাব থাকতে হবে। যুবসমাজকে মাদক, সন্ত্রাস ও দুর্নীতি থেকে দুরে থাকতে হবে। একটা দেশকে যুবশক্তিই উন্নত করতে পারে। বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সপ্তম কংগ্রেসে প্রধান অতিথির ভাষণে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুর্নীতি করে অর্থ উপার্জন করে আন্তর্জাতিক বড় বড় ব্র্যান্ডের জিনিস পরে ঘুরতে পারেন। এতে হয়ত আত্মতুষ্টি পাওয়া যেতে পারে, মানুষ চেয়ে চেয়ে দেখতে পারে, কিন্তু মানুষের কাছে সম্মান পাওয়া যায় না।
এর আগে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কংগ্রেসের প্রথম অধিবেশনের সভাস্থলে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীকে ফুল ও ক্রেস্ট দিয়ে এবং উত্তরীয় পরিয়ে বরণ করে নেন যুবলীগ নেতারা। সকাল ১১টায় রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শান্তির প্রতীক পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে কংগ্রেসের উদ্বোধন করেন সংগঠনটির সাংগঠনিক নেত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে বলেন, দেশ গড়তে প্রয়োজন যুবসমাজের মেধা কাজে লাগানো। কিন্তু ৭৫ এর পর যুবসমাজকে বিপথে ঠেলে দেওয়া হয়। ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে মানুষের কল্যাণে কাজ করতে শুরু করে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুবসমাজকে বঙ্গবন্ধুর ‘কারাগারের রোজনামচা ও অসমাপ্ত আত্মজীবনী মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে। তাহলেই লোভ-লালসার ঊর্ধ্বে ওঠে কীভাবে দেশ ও মানুষের জন্য কাজ করা যায় শিখতে পারবেন। আমাদের সবাইকে এ কথাটা মনে রাখতে হবে-ভোগে নয় ত্যাগেই হচ্ছে মহত্ত্ব। কী পেলাম না পেলাম সেটা বিবেচ্য নয়। কতটুকু দেশ ও মানুষের জন্য কাজ করতে পারলাম সেটাই দেখার বিষয়।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, মানুষের কল্যাণে কী করতে পারলাম সেই চিন্তা যাদের মাথায় থাকে তারা রাজনীতিতে সফল হতে পারেন।
কংগ্রেসে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় কংগ্রেস প্রস্তুতির আহ্বায়ক ও প্রেসিডিয়াম সদস্য চয়ন ইসলাম। সভা পরিচালনা করেন সদস্য সচিব ও সাধারণ সম্পাদক হারুন-অর-রশিদ ।
এদিকে, শনিবার সকাল থেকেই দলীয় নেতাকর্মীরা মিছিলসহকারে সম্মেলনস্থলে যোগ দিতে শুরু করেন। সভাস্থলে সারাদেশের ৭৭টি সাংগঠনিক জেলা থেকে আগত সংগঠনটির কাউন্সিলর, ডেলিগেটসহ নেতাকর্মীরা উপস্থিত হোন। এছাড়া আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দসহ এর বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরাও উপস্থিত থাকেন।