নিজস্ব প্রতিবেদক : বর্তমান সরকারের মাদকের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি যথাযথ বাস্তবায়নকল্পে মাঠ পর্যায়ে বিজিবি’র গোয়েন্দা তৎপরতা ও অভিযানিক কর্মকাণ্ড অব্যাহত রয়েছে। এরই টেকনাফে বিজিবি’র অভিযানে ১,২০,০০০ (এক লক্ষ বিশ হাজার) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ১ জন, সকালে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি’র টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, অত্র ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ নাজিরপাড়া বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ আলুগোলা নামক এলাকা দিয়ে মাদকের একটি চালান মায়ানমার হতে বাংলাদেশে আসতে পারে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে বিজিবি’র নাজিরপাড়া বিওপি’র একটি টহলদল উল্লেখিত এলাকায় গিয়ে বেড়িবাঁধ সংলগ্ন কেওড়া বাগানের আড়ি পেতে কৌশলগত অবস্থান নেয়।
আনুমানিক সকাল ৮ টার সময় বিজিবি টহলদল তিনজন ব্যক্তিকে একটি কালো পলিথিনের ব্যাগ হাতে নিয়ে নাফ নদী পার হয়ে সীমান্তের শূন্য লাইন হতে বর্ণিত স্থানের দিকে আসতে দেখে।
তাদের গতিবিধি সন্দেহজনক পরিলক্ষিত হওয়ায় টহলদল তাদেরকে চ্যালেঞ্জ করলে উক্ত ব্যক্তিরা দূর হতে বিজিবি টহলদলের উপস্থিতি অনুধাবন করা মাত্রই তাদের হাতে থাকা একটি পলিথিনের ব্যাগ ফেলে দিয়ে দ্রুত দৌড়ে কেওড়া বাগানের ভিতরে পালিয়ে যায়।
এরপর বিজিবি টহলদল উল্লেখিত স্থানে পৌঁছে তল্লাশি অভিযান পরিচালনা করে তাদের ফেলে যাওয়া একটি পলিথিনের ব্যাগ উদ্ধার করে তার ভেতর হতে ১,২০,০০০ (এক লক্ষ বিশ হাজার) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট (মালিকবিহীন অবস্থায়) জব্দ করে।
পরবর্তীতে টহলদল কর্তৃক উক্ত এলাকায় সকাল ০৯৩০ ঘটিকা পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করা হলেও কোন মাদক কারবারী কিংবা তাদের সহযোগীকে আটক করা সম্ভব হয়নি। তবে তাদেরকে সনাক্ত করার জন্য অত্র ব্যাটালিয়নের গোয়েন্দা কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি’র টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) এর অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মোঃ মহিউদ্দীন আহমেদ, বিজিবিএমএস জানান, মাদকের বিরুদ্ধে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ জিরো টলারেন্স নীতির বাস্তবায়নে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি’র টেকনাফ ব্যাটালিয়নের এধরণের অভিযান পরিচালনা অব্যাহত থাকবে।