নিজস্ব প্রতিবেদক : বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবস্থা নিয়ে আবারও উদ্বেগ প্রকাশ করে সংবাদ সম্মেলন করেছে বিএনপিপন্থী চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব)।
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির ঢাকা উত্তর মহানগর সভাপতি ডা. সরকার মাহবুব আহমেদ শামীম বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে যথাযথ ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পাচ্ছেন না। এতে করে তার শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি হয়েছে।
বুধবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনটির আয়োজন করা হয়।
ডা. শামীম বলেন, ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি বেগম খালেদা জিয়া গাড়ি থেকে নেমে পায়ে হেঁটে জেলখানায় প্রবেশ করেন। হেঁটে দোতলায় তার নির্ধারিত রুমে গেছেন। এমনকি জেলখানা থেকে এর আগের বার যখন বিএসএমএমইউতে আসেন তখন গাড়ি থেকে নেমে নিজে লিফট পর্যন্ত হেঁটে যান। তিনি কিভাবে আজকের অবস্থায় উপনীত হলেন? সঠিক চিকিৎসার অভাবে তিনি ধীরে ধীরে এই অবস্থায় উপনীত হয়েছেন। তাকে যথাযথ চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে না বলেও তার শারীরিক অবস্থার এত অবনতি হয়েছে।
তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বেগম খালেদা জিয়া বিভিন্ন রোগে ভুগছেন। তিনি হাইলি অ্যাক্টিভ ডিফরমিং, রিমেটয়েড আর্থ্রাইটিস, অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশনসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন। এ অবস্থায় তিনি জেলখানায় সঠিক চিকিৎসা না পাওয়ায় এবং স্বাভাবিক পরিবেশ না থাকায় ওই রোগ সংক্রান্ত বিভিন্ন জটিলতা দেখা দিয়েছে।
ডা. শামীম বলেন, একাধিক রোগে জটিলতার কারণে খালেদা জিয়ার হাত ও পায়ের ছোট ছোট জয়েন্টগুলোসহ বিভিন্ন জয়েন্ট ফুলে গেছে এবং তাতে তীব্র ব্যথা অনুভূত হচ্ছে। জয়েন্টগুলো শক্ত এবং বাঁকা হতে চলেছে, যা অচিরেই স্থায়ী রুপ ধারণ করতে পারে। বেগম জিয়া এখন অন্যের সাহায্য ছাড়া চলাফেরা, ওঠাবসা এমনকি হাতে খাবার পর্যন্ত খেতে পারছেন না। ভয়ংকর ব্যাপার হলো ওনার ডান পায়ে একটি গুটি উঠেছে যেটিকে মেডিকেল সায়েন্সের ভাষায় রিউম্যাটিক নোডুল (জযবঁসধঃরপ হড়ফঁষব) বলে। যা স্পর্শ করা মাত্রই তীব্র ব্যাথা অনুভূত হয়। যেটি থেকে পচন ধরতে পারে।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ছাড়াও ড্যাবের অন্যান্য নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।