নিজস্ব প্রতিবেদক : বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের শুনানিতে বিএনপির আইনজীবীদের হট্টগোলের কারণে মামলার শুনানি করতে না পেরে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের উদ্দেশ করে বলেছেন, সব কিছুর সীমা থাকা উচিত। আপনারা এজলাস কক্ষে যে আচরণ করেছেন, তা নজিরবিহীন। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের ওপর পরবর্তী শুনানির দিন ঠিক করার বিষয়কে কেন্দ্র করে এজলাস কক্ষে সৃষ্ট পরিস্থিতি নিয়ে তিনি এমন কথা বলেন।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার আগে শুনানি শুরুর সময় থেকে হট্টগোল করতে থাকেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা। তীব্র হইচই ও হট্টগোলের মধ্যে ১০টার পর এজলাস থেকে নেমে যান প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের বেঞ্চ। এজলাস থেকে নেমে যাওয়ার সময় এমন মন্তব্য করেন প্রধান বিচারপতি।
পরে বেলা ১১টা ৩৫ মিনিটের দিকে পুনরায় প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ছয় বিচারপতির আপিল বেঞ্চের কার্যক্রম শুরু হয়। তখন ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন কিউসি একটি মামলার শুনানি করছিলেন। এসময় আইনজীবীরা আবার হট্টগোল শুরু করেন। পর্যায়ক্রমে তা চলে দুপুর ১টা পর্যন্ত।
বৃহস্পতিবার সকালে শুনানির শুরুতে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যবিষয়ক রিপোর্ট দাখিলের জন্য সময় আবেদন করেন। এর বিরোধিতা করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। এরপরই শুরু হয় বাকবিত-া। হট্টগোলের কারণে বন্ধ থাকে আদালতের কার্যক্রম।
গত ২৮ নভেম্বর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যবিষয়ক মেডিকেল বোর্ডের রিপোর্ট ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে দাখিলের নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসকদের নিয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ডকে এ প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়।