মো:রফিকুল ইসলাম,নড়াইলঃ
নড়াইল সদর উপজেলার কলোড়া ইউনিয়নের আগদিয়া গ্রামের আব্দুর রউফ (খোকন হুজুর) এর মাদ্রাসা জামিয়া ইসলামিয়া রউফিয়া মাদরাসার ৩ শিশু ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগ উঠেছে মাদ্রাসার শিক্ষক সিরাজ হুজুর ওরফে ক্বারী হুজুরের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় মাদ্রাসা থেকে অভিযুক্ত সিরাজ হুজুরকে আটক করে পুলিশ। কড়লা ইউনিয়নের আগদিয়া ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী-লীগের সভাপতি মোস্তফা শেখ জানান,দীর্ঘদিন ধরে মাদ্রাসার শিক্ষক সিরাজ
শিশু শিক্ষার্থীদের সাথে যৌন হয়রানিসহ নানাবিধ কুকর্ম করে আসছে। জোঁর করে শিশুদের
মুখের ভিতর হুজুরের পুরুষঅঙ্গ ডুকিয়ে দেয়াসহ নানা অপকর্ম করে আসছে। এসব কারনে আমার নাতীসহ অনেক শিশু’রা মাদ্রাসায় যেতে চায় না। অভিভাবক’রা শিশুদের মাদ্রাসায় না যেতে চাওয়ার কারন জানতে চাইলেও শিশুরা কিছুই বলে না। এক পর্যায়ে আমার নাতী আমাকে বলে,সিরাজ হুজুর আমারে ভয় দিয়ে বলে জানিস আমি কেমন করে গরু জবাই করি,তুই যদি কাউকে কিছু বলিস তাহলে তোকেও জবাই দিয়ে দিব বলে ভয় দেখিয়েছে। এ ভয়ের কারনে শিশু’রা মাদ্রাসায় যেতে চাই না বলেও জানান। এহেন ঘটনায় স্থানীয়’রা প্রতিবাদ করলে পুলিশ ঘটনা স্থল মাদ্রাসা থেকে অভিযুক্ত হুজুর সিরাজকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। মাদ্রাসায় পড়ুয়া মোস্তরহাট এলাকার মনিরুলের ছেলে রিয়াদ শেখ বলে,দীর্ঘ দিন ধরে সিরাজ হুজুর আমাদের সাথে খারাপ আচার করছে,হুজুরের নুনু আমাদের গালের ভিতর ডুকিয়ে দেয়,আমরা এখানে আর পড়ব না। গোব’রা এলাকার রজিবুলের ছেলে নূরানী শিক্ষার্থী জিহাদ শেখ বলে,হুজুর আমাদের ভয় দেখিয়ে এই সব খারাপ কাজ করে,আমদের দিয়ে খারাপ কাজ করায়। বিছালী গ্রামের মিজানুরের ছেলে সোহান মোল্যা বলে, অধিকাংশ ছাত্রদের দিয়ে এই সব কাজ করায় হুজুর। এমন ঘটনায় আগদিয়ায় চঞ্চলের সৃষ্টি হয়েছে,হুজুরের দাঁরায় এমন নেক্কারজনক ঘটনা ঘটবে আসা করিনি,সুনামধন্য মাদ্রাসার বদনাম করলো পাজী হুজুর বলেও জানান,স্থানীয়’রা। মাদ্রাসা’র পরিচালক মুফতী সাজিদুর রহমান নড়াইল ক্রাইম নিউজকে বলেন,(৩১ জুলাই) সোমবার সকালে রিয়াদ আমাকে জানায়,হুজুর আমার সাথে এ কাজ করেছে রোজার ঈদের আগে,এমন অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথে আমি মাদ্রাসার সকল শিক্ষকদের ডেকে মিটিং করে সাথে সাথে অভিযুক্ত সিরাজ হুজুরকে বহিষ্কার করে পুলিশে সপর্দ করি। মাদ্রাসা’র পরিচালক মুফতী সাজিদুর রহমান আরো বলেন,অভিযুক্তকে আমি বহিষ্কার করাসহ পুলিশে দিয়েছি,আইন তার অপরাধের সঠিক বিচার করবে,আমিও তার অপরাধের বিচার চাই। আমার সুনামধন্য মাদ্রাসার সুনাম নষ্ট করার জন্য কিছু কুচক্রীমহল পাইতারা করছে,একজন শিক্ষকের জন্য একটি স্কুলের বদনাম হতে পারে না,তেমনি একজন হুজুরের জন্য মাদ্রাসার সন্মান নষ্ট হতে পারে না,হুজুর অপরাধ করে থাকলে তদন্তপূর্বক তার কঠিন বিচার দাবি করি বলে জানান,মাদ্রাসা’র পরিচালক মুফতী সাজিদুর রহমান।