নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকার কেরানীগঞ্জে প্লাস্টিক সামগ্রী তৈরির কারখানায় আগুনে দগ্ধ আরও ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার রাতে ও বৃহস্পতিবার সকালে তাদের মৃত্যু হয় বলে মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া জানান। বুধবার বিকালে কেরানীগঞ্জের চুনকুটিয়া এলাকায় প্রাইম পেট অ্যান্ড প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড কারখানায় অগ্নিকা-ের ওই ঘটনায় এ নিয়ে মোট ১৩ জনের মৃত্যু হল।
দগ্ধ আরও ২১ জন ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন আছেন। তাদের অবস্থাও ভালো নয় বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
বাচ্চু মিয়া বলেন, ওই কারখানার ধ্বংসস্তূপ থেকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা বুধবার এব যুবকের পোড়া দেহ উদ্ধার করেছিল, তার নাম জাকির হোসেন, বয়স ২২ বছর।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে ও সকালে মারা যান ওই কারখানার কর্মী খালেক, সালাউদ্দিন, ইমরান, বাবলু, রায়হান, সুজন, জিনারুল, আলম, জাহাঙ্গীর, ফয়সাল, রাজ্জাক ও রায়হান।
বার্ন ইউনিটের সমন্বয়ক সামন্ত লাল সেন বলেন, বাকি ২১ জনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। তাদের মধ্যে শরীরের শতভাগ দগ্ধ রোগীও রয়েছে। ১১ জনকে শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়েছে।
বুধবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে প্রাইম পেট অ্যান্ড প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড কারখানায় আগুন লাগার পর ফায়ার সার্ভিসের দশটি ইউনিট সোয়া এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
একতলা টিনশেড ওই কারখানায় ওয়ান টাইম প্লেট, কাপসহ প্লাস্টিকের বিভিন্ন সামগ্রী তৈরি করা হত। কোম্পানির মালিকের নজরুল ইসলাম। আল-আমিন নামে একজন ওই কারখানার ম্যানেজার।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে স্থানীয় এমপি জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু বুধবার রাতে সাংবাদিকদের বলেন, ওই কারখানার কোনো অনুমোদন ছিল না।
আগুন লাগার কারণ ও ক্ষতির পরিমাণ জানতে ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।