মেহেরপুরের ভূমি অধিগ্রহণের ভৌতিক মুল্যে আতংকিত সাংবাদিক।
মেহেরপুর প্রতিনিধি : মেহেরপুর ভূমি অধিগ্রহণ নিয়ে আতঙ্কে রয়েছে বাংলাদেশ প্রতিদিন মেহেরপুর প্রতিনিধি মাহাবুবুল হক পোলেনের পরিবার সহ জমির মালিকরা।
বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক সোসাইটির পক্ষ থেকে স্বেচ্ছাচারিতা ও অনিয়মের তিব্র নিন্দা জানিয়েছে।ভুমি অধিগ্রহণ শাখার কর্মকর্তা কর্মচারিদের স্বেচ্ছাচারিতা ও অনিয়মে সঠিক মূল্য নাপেয়ে সর্বশান্ত হচ্ছেন ভূমি মালিকরা ।
অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে মানা হচ্ছেনা ২০১৭ সালের ভূমি অধিগ্রহণ আইন। জেলা প্রশাসনের নির্ধারিত ভৌতিক মূল্য বাজার দরের সাথে কোন ভাবেই মিলছেনা। এর কবলে পওে মেহেরপুরের সিনিয়র সাংবাদিক মাহবুবুল হক পোলেনের পরিবারও সর্বশান্ত হতে বসেছে। ফলে জমির মালিকরা মামলার আশ্রয় নিতে বাধ্য হচ্ছে। এতে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন আটকে যাবার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে ।
ভূমির মালিকদের অভিযোগ জমি অধিগ্রহণ আইনের দ্বিতীয় অধ্যায়ের ৪ ধারায় উল্লেখ আছে জেলা প্রশাসক যৌথ তালিকা প্রস্তুত করে জমির যে শ্রেনী উল্লেখ করবে সেই শ্রেনীর ও সম সুবিধা যুক্ত জমির মূল্যে পাবে জমির মালিক। কিন্তু জেলা প্রশাসকের সে সিদ্ধান্তকে অমান্য করে বানিজ্যিক ও আবাসিক জমিকে কৃষি জমি দেখিয়ে কয়েক গুণ কম মূল্য নিধারন করছে অধিগ্রহণ কর্মকর্তা কর্মচারিরা।
ফলে বাজার মুল্যের সিকি ভাগও মূল্য হচ্ছেনা জমির। মেহেরপুর শহরের বিভিন্ন সড়কের পাশের জমির বর্তমান বাজারমুল্য ক্ষেত্র বিশেষে ১০ লাখ থেকে ১৫ লাখ টাকা শতক। জেলাপ্রশাসন এসব জমি অধিগ্রহন করছে ৫০হাজার টাকা থেকে ১ লাখ টাকা শতক হিসাবে। মানা হচ্ছেনা পারিপার্শিক সমশ্রেণির সমান সুবিধাযুক্ত জমির ১২ মাসের গড়মুল্য (২০১৭ সালের ভ’মি অধিগ্রহন আইনের ৯ এর ক ধারা)। এ মুল্য নির্ধারন বিষয়ে জানতে চাইলে বা প্রতিবাদ করলে ভুমি আধিগ্রহণের কর্মকর্তা কর্মচারিরা জমির মালিককে ধমক দিয়ে ভয় ভিতি দেখাচ্ছে। ফলে জমির মালিকরা জেলা প্রশাসনের কাছে বিচার না পেয়ে দারস্থ হচ্ছে আদালতের ।
মামলা জটিলতায় থমকে যাচ্ছে সরকারের উন্নয়ন। ২২ জেলায় ১টি করে পলিটেকনিকাল ইনস্টিটিউট নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ২১ জেলায় সম্পুর্ন হলেও ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতায় বন্ধ হয়ে গেছে মেহেরপুরে । বাংলাদেশের সব উপজেলায় মডেল মসজিদ নির্মান হলেও ,ভুমি অধিগ্রহন জটিলতায় মুজিবনগর মডেল মসজিদের কাজ এখোনো আলোর মুখ দেখিনি।
মেহেরপুরে রেললাইন , মুজিবনগর সৃতি কমপ্লেক্স , চেকপোস্ট , বিশ^বিদ্যালয় সহ অনেক উন্নয়নমুলক কাজ জাতীয় অর্থনৈতিক কমিটির নির্বাহি সভায় (একনেক) পাশ হয়েছে। এসব উন্নয়নমুলক কাজের জন্য অল্পদিনেই ভুমি অধিগ্রহন হবে তা নিয়ে মেহেরপুরের জমির মালিকরা আতঙ্কিত ।
ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিক আশরাফুল হক সহ কয়েক জন জানান আমার পাশের জমি বিক্রয় হচ্ছে প্রায় ১২ লাখ টাকা (শতাংশ) সরকার আমার জমির মুল্য নির্ধারণ করেছে ৫৭ হাজার টাকা(শতাংশ) । আপত্তি দাখিলের জন্য মাত্র ২৪ ঘন্টা সময় দেওয়া হয়েছে। জমিতে বাগান ছিলো ধানি জমি হিসাবে অধিগ্রহন করে যে টাকা দিয়েছে তাতে গাছের মুল্যই হয়না ।
সিনিয়র সাংবাদিক মাহবুবুল হক পোলেন বলেন, ২০১৭ সালের ভ’মি আইন না মেনে ক্ষমতার অপব্যবহার করে আমার পরিবারের জমি অধিগ্রহণ করা হচ্ছে। মেহেরপুর জেলা প্রশাসনের ভ’মি অধিগ্রহণ শাখার কর্ম কর্তা রনী খাতুন সহ এই সাখার সকল কর্মচারিদের দূনীতির তদন্ত সহ শাস্তির দাবি জানায়। ভ’মি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা রণী খাতুনের আইন না মেনে নিজের ইচ্ছামত কাজ করায় সরকারের উন্নয়ন প্রকল্প এখন নীলকরদের শোষনে পরিনত হয়েছে।
গ্রামবাসী জানান, মেহেরপুরে ৫০ থেকে ১ লাখ টাকায় জমি অধিগ্রহণ হচ্ছে। যেটা জমির প্রকৃত মূল্যের ১০ ভাগের ১ ভাগও না। এ কারনে অধিগ্রহণ জটিলতায় অনেক উন্নয়ন প্রকল্প বাধাগ্রস্থ হচ্ছে।
জেলা প্রশাসক শামিম হাসান বলেন, সদ্য দায়িত্ব বুঝে পেয়েছি । কৃষক ক্ষত্রিগ্রস্থ হচ্ছে কিনা জানিনা । তবে ২০১৭ সালের ভ’মি অধিগ্রহণ আইন অনুযায়ী তিনগুণ ক্ষতিপুরণ দেওয়া হচ্ছে।