ডেস্ক রিপোর্ট : বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানালেন কংগ্রেস সভাপতি সোনিয়া গান্ধী। নয়াদিল্লির রামলীলা ময়দানে ভারত বাঁচাও সমাবেশে নাগরিকত্ব আইনসহ বিভিন্ন ইস্যুতে মোদি সরকারের তীব্র সমালোচনা করেন কংগ্রেসের শীর্ষ নেতারা।
এদিকে, নতুন নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে ভারতের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ অব্যাহত আছে। চলমান এ বিক্ষোভের কারণে দেশটিতে নিজেদের নাগরিকদের জন্য ভ্রমণ সতর্কতা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও কানাডা।
ভারতে নতুন নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে শুক্রবার বিকেলে নয়াদিল্লিতে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন জামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। মিছিল নিয়ে তারা পার্লামেন্টের দিকে যাওয়ার সময়, পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হন। আটক করা হয় অন্তত ৫০ জনকে।
এদিকে, গেলো দুইদিন সহিংসতার পর সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছে অল আসাম স্টুডেন্টস ইউনিয়ন -আসু। এর পরই রাজ্যের পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। তবে, পুনরায় যাতে অশান্তি ছড়িয়ে না পড়ে সেদিকে নজর রাখছে পুলিশ।
আসাম পুলিশের ডিজি ভাস্কর জ্যোতি মহান্ত বলেন, অনেক কঠিন সময় যাচ্ছে। আমরা এখন শান্তির পথে। নজরদারি অব্যাহত আছে। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর পর এবার আরও ৫টি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিজেপি সরকারের নাগরিকত্ব বিলের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। দিল্লি, পাঞ্জাব, ছত্তিশগড়, কেরালা ও মধ্যপ্রদেশে নতুন নাগরিকত্ব আইন কোনভাবেই প্রয়োগ করতে দেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন রাজ্যগুলোর মুখ্যমন্ত্রী।
এদিকে, ভারতে পাস হওয়া নতুন নাগরিকত্ব আইনকে বৈষম্যমূলক অ্যাখ্যা দিয়ে তা পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক মুখপাত্র জেরেমি লরেন্স বলেন, ভারতের নাগরিকত্ব আইনটি নিয়ে জাতিসংঘ উদ্বিগ্ন। এই আইনের বৈধতা দেশটির সর্বোচ্চ আদালতে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে। আমরা আশা করি, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের প্রতি ভারতের যে দায়বদ্ধতা রয়েছে, আদালত তা সতর্কতার সঙ্গে বিবেচনা করবেন।
এরমধ্যেই, ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলে নিজ দেশের নাগরিকদের ভ্রমণের ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া রাজ্যগুলোতে না যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।