নিজস্ব প্রতিবেদক : জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উদযাপনে ২০২০ ও ২০২১ সালকে ‘মুজিববর্ষ’ হিসেবে পালন করা হবে। এ মুজিববর্ষেই প্রত্যেক অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাকে বাড়ি নির্মাণে ১৬ লাখ করে টাকা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
মঙ্গলবার শিল্পকলা একাডেমির সংগীত ও নৃত্যকলা অডিটোরিয়ামে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষে উৎসর্গকৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার নুরুল ইসলাম খান রচিত ‘মুক্তিযুদ্ধ এবং আমি’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচনকালে তিনি এ কথা বলেন।
সাবেক সিনিয়র সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বইটির রচিয়তা নুরুল ইসলাম খান, নবাবগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবু বকর সিদ্দিক প্রমুখ।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের মধ্যে অনেক অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা রয়েছেন। মুজিববর্ষে আমরা সেসব অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাকে ১৬ লাখ করে টাকা দেব। মুক্তিযোদ্ধার গৃহনির্মাণ তথা ‘বীর ভবন’ তৈরির জন্য এসব টাকা তাদের হাতে দেয়া হবে। বাসাগুলো নির্দিষ্ট ডিজাইনে করার জন্য ইউএনওর নেতৃত্বে একটি কমিটি করে দেয়া হবে। কিন্তু অর্থ খরচের মূল দায়িত্বে থাকবেন মুক্তিযোদ্ধারা নিজেই।
তিনি বলেন, আমাদের মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে। এ প্রকল্পের আওতায় সামনে মুজিববর্ষে আমরা প্রত্যেক জীবিত মুক্তিযোদ্ধার কাছ থেকে তাদের নিজস্ব ১০ থেকে ২০ মিনিটের একটি বক্তব্য ধারণ করবো। ‘বীরের কণ্ঠে বীরগাথা’ এ শিরোনামে এসব বর্ণনা নেব এবং এটা যেন দীর্ঘদিন রক্ষিত থাকে সে ব্যবস্থাও করা হবে।
মন্ত্রী বলেন, আমরা যারা মন্ত্রী তারা অনেক কথা বলি। কিন্তু যারা নিরীহ মুক্তিযোদ্ধা তারা কিছুই বলার সুযোগ পান না। এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে পরবর্তী প্রজন্ম ও গবেষকরা মুক্তিযোদ্ধাদের কণ্ঠেই মুক্তিযুদ্ধের কথা থেকে সত্যিকারের ইতিহাস বের করতে পারবেন। সে ইতিহাস জাতিকে সমৃদ্ধ করবে। কী অবস্থায় তারা যুদ্ধ করেছে এ বিষয়গুলো সংরক্ষণ থাকা উচিত।