রাঙামাটি প্রতিনিধি : মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, রাজাকারের নাম তালিকায় যেভাবে আছে সেভাবেই প্রকাশ করা হবে। কোনও রাঘববোয়াল বা চুনোপুঁটিরও বাদ যাওয়ার সুযোগ নেই। সরকারি চাকরিরত রাজাকারের সন্তানদের বিষয়ে সরকার কোনও সিদ্ধান্ত নেবে কিনা সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, এই বিষয়ে আলোচনা চলছে। এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
শনিবার সকালে কাপ্তাই উপজেলার কর্ণফুলী কলেজ মাঠে বঙ্গবন্ধু জাতীয় অ্যাডভেঞ্চার উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। এই অ্যাডভেঞ্চার উৎসব পাঁচদিন চলবে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে রাঙামাটিতেই প্রথম এই কার্যক্রম শুরু করলো পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড।
রাঙামাটিতে অ্যাডভেঞ্চার উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান : পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরার সভাপতিত্বে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রশান্ত মহাসাগর পাড়ি দেওয়া এনি কুইন মেরী, রাঙামাটি আসনের সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার, রাঙামাটির জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদ, পুলিশ সুপার মো. আলমগীর কবীর প্রমুখ।
উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী বলেন, ‘পার্বত্য তিন জেলায় পর্যটন বিকাশের অপার সম্ভাবনা থাকার পরও পরিকল্পনার অভাবে পর্যটন বিকাশ সম্ভব হয়নি। এধরনের অনুষ্ঠান পর্যটন বিকাশে ভূমিকা রাখবে।
বাংলাদেশ পর্যটন শিল্পের উন্নয়ন ও অ্যাডভেঞ্চার কার্যক্রমে নতুন প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করার উদ্দেশ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের উদ্যোগে ও বাংলাদেশ অ্যাডভেঞ্চার ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় ১১-১৫ জানুয়ারি তিন পার্বত্য জেলায় বঙ্গবন্ধু জাতীয় অ্যাডভেঞ্চার উৎসব শুরু হলো। দেশ-বিদেশের ১০০ জন (স্থানীয় ৩১ জন, দেশের অন্যান্য এলাকার ৫৩ জন এবং ১৬ জন বিদেশি) এই অ্যাডভেঞ্চার উৎসবে অংশগ্রহণ করবেন। সমাপনী দিনে এভারেস্ট বিজয়ী নিশাত মজুমদারকে বঙ্গবন্ধু অ্যাডভেঞ্চার সম্মাননা প্রদান করা হবে।
অ্যাডভেঞ্চার উৎসবে থাকছে মাউন্টেইন বাইকিং, কায়াকিং, ক্যানিওনিং, কেভ ডিসকভারি, হাইকিং, ট্রেইল রান, রোপ কোর্স, টিম বিল্ডিং, টি ট্রেইল হাইকিং, সেইলিং বোটসহ বিভিন্ন আয়োজন।