নিজস্ব প্রতিবেদক : বরগুনার চাঞ্চল্যকর রিফাত শরীফ হত্যা মামলা তার স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নির ক্ষেত্রে বাতিল চেয়ে করা আবেদন উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আবেদনটি খারিজ করে দেন।
আবেদনটি ফিরিয়ে নিতে আয়শার আইনজীবীর আরজির পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এই আদেশ দেন। আদালতে আয়শা সিদ্দিকার পক্ষে ছিলেন, আইনজীবী জেড আই খান পান্না ও মাক্কিয়া ফাতেমা ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এফ আর খান।
পরে মাক্কিয়া ফাতেমা ইসলাম বলেন, চলতি সপ্তাহে রিফাত শরিফ হত্যা মামলাটি নিজের ক্ষেত্রে বাতিল চেয়ে আবেদন করেন আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি। এরপর জানা যায় ইতিমধ্যে ওই মামলায় সাক্ষ্য শুরু হয়ে গেছে। তাই আবেদনটি না চালানোর কথা বলে ফেরত চাওয়া হয়। আদালত আবেদনটি উত্থাপিত হয়নি বলে খারিজ করে দিয়েছেন। বরগুনার জেলা দায়রা জজ আদালতে মামলাটি বিচারাধীন। এই আদালত থেকে অন্য আদালতে মামলাটি বদলের জন্য উচ্চ আদালতে শিগগির আবেদন করা হবে বলে জানান আইনজীবী মাক্কিয়া ফাতেমা ইসলাম।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এফ আর খান বলেন, ওই মামলায় ৭৫ জন সাক্ষী রয়েছেন। ইতিমধ্যে ১৬ জনের সাক্ষ্য নেয়া হয়েছে।
গত বছরের ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে রিফাত শরীফকে তার স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নির সামনে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে সন্ত্রাসীরা। এরপর তাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনার পর ওই দিন বিকেলে মারা যান রিফাত শরীফ। পরদিন ২৭ জুন নিহত রিফাতের বাবা আবদুল হালিম শরীফ বাদী হয়ে বরগুনা থানায় ১২ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা করেন।
পরে মামলার অন্যতম আসামি নয়ন বন্ড পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন। গত ১ সেপ্টেম্বর আলোচিত এই মামলার তদন্ত কার্যক্রম শেষ করে প্রধান সাক্ষী নিহত রিফাত শরীফের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিসহ ২৪ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। অভিযোগপত্রে মিন্নিকে হত্যার ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগ আনে পুলিশ। মিন্নিকে গ্রেপ্তার করা হলেও বর্তমানে তিনি জামিনে রয়েছেন।