মন্তব্য প্রতিবেদন : বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ঘুষ দেওয়া- নেওয়া এখন মামলী ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। সুদ, ঘুষ দুর্নীতি যদি বেহেশতের যাওয়া ক্ষেত্রে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় তাহলে, বাংলাদেশের অধিকাংশ মুসলমান আল্লাহর বিধানে আটকে যাবে।
সরকারী প্রতিটি অফিস ঘুষ,দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে।দেশের মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে গেছে, প্রতিটি পন্যৈর দাম বাড়ার পেছনে ঘুষ বানিজ্য।
রাস্তায় জ্যাম বেশি হওয়ার পেছনে ঘুষ বানিজ্য।স্বাভাবিক নিয়মে কোন কাজ হয় না।ঢাকা শহরে বাস,ট্রাক, মাইক্রো , প্রাইভেট কারের ৮০ ভাগ গাড়িতে ট্রাফিককে পার্কিং ঘুষ দিতে হয়।৯৫ ভাগ গাড়ির ফিসনেস নিতে বিআরটিএ কে ঘুষ দিতে হয়।
রাজধানী ঢাকার ৯০ ভাগ বাড়ির প্লান পাশ, দলিল সহ বিভিন্ন কাজে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা কর্মচারীদের ঘুষ দিতে হচ্ছে।এতিমখানার এতিমের কোটা নিতেও সমাজসেবা কার্যালয়ে ঘুষ দিতে হয়।
দুস্ত অসহায় নারী যারা গ্রামে গ্রামে সামাজিক কর্মসূচির মাধ্যমে রাস্তায় কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন তাদের ও ঘুষ দিতে হয়। সুপেয় পানির জন্য পাবলিক হেলথ থেকে ডিপটিউব ওয়েল বরাদ্দ পেতে ঘুষ দিতে হয়।
ঘুষ,দুর্নীতির কারণে আজকে প্রতিটি জিনিসের দাম বেড়েছে, মানুষের অভিযোগ দেওয়ার জায়গায় নেই, অনিয়মের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা এখন অনিরাপদ। প্রতিটি সেক্টরে দুর্নীতি রোধ করা গেলে দেশের মানুষের ৪০ ভাগ খরচ সাশ্রয় হবে।