নিজস্ব প্রতিবেদক : নির্মাণ কাজে বিধি বর্হিভূতভাবে সিডিউল তৈরী, কনসালটেন্ট ফার্ম নিয়োগে অনিয়ম, অযোগ্য প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেয়া, অফিশিয়াল গোপনীয় এষ্টিমেট নিজস্ব ঠিকাদারকে প্রদান করা, গোপনীয় দর নির্দিষ্ট একজনকে প্রদান করায় অধিক সংখ্যক দরপত্রদাতা দরপত্রে অংশ গ্রহন না করা ইত্যাদি বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন প্রদানের জন্য একটি রীট আবেদনের প্রেক্ষিতে (রীট নং- ৬১৪২/২০২১) উচ্চ আদালত কর্তৃক দুদুককে নির্দেশনা প্রদানের পরেও পিডি কর্তৃক দুদুককে ম্যানেজ করে ঠিকাদারের বিল পরিশোধ করা হচ্ছে । বিষয়টি প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ডিজি ও মন্ত্রণালয়ের সচিবকে জানানোর পরেও কোন ব্যাবস্থা না নেয়ায় উক্ত প্রকল্প পরিচালক ডা: মো: জাহাংগীর আলম আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন।
সম্প্রতি প্রতিবেদক একটি অভিযোগের ভিত্তিতে সিলেট গমন করে এবং কাজ শেষে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের আলোচ্য প্রকল্পের সাইট পরিদর্শন করে। সিলেটের টিলাগড়ের এমন স্থানে আলোচ্য প্রতিষ্ঠানটি নির্মিত হচ্ছে সেখানে কাজের পাইলিং করা বা ভূমি উন্নয়নের কাজের তেমন প্রয়োজন হওয়ার কথা নয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেল, সি-টু পাইলিং করেই নির্মাণ কাজ করা হচ্ছে কারণ নীচের ভীত অনেক শক্ত ও মজবুত।কিন্তু খোঁজ নিয়ে জানা গেল মূল ভবনটির জন্য পাইলিং বাবদ ঠিকাদারকে প্রায় ২ কোটি টাকার বিল পরিশোধ করা হয়েছে। আলোচ্য প্রকল্পের আওতায় প্রত্যেকটি কাজে ওভার এষ্টিমেট করা হয়েছে এবং সেখানেও কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে ঐ প্রকল্পের একাধিক ঠিকাদার মন্তব্য করেেেছন।
একইভাবে সিলেট অংশের কাজের ভূমি উন্নয়নের জন্য ডক্লিউডি-২৪ প্যাকেজের আওতায় ১,৪০,১৮,০০০/ টাকার এপিপি অনুমোদন করা হয়েছে এবং ২২/২/২৩ ইং তারিখে উক্ত কাজের দরপত্র আহব্বান করে কার্যাদেশ প্রদান করা হয়েছে। যদিও ঐ কাজের জন্য সর্বসাকুল্যে ৬০-৭০ লক্ষ টাকা খরচ হওয়ার কথা।
দুঃখজনক হলেও সত্য পিডি ঐ একই কাজের জন্য পুনরায় ৭০,০০,০০০/ টাকার এপিপি অনুমোদন করাইয়া বিগত ২৮/৪/২৪ ইং তারিখে দরপত্র আহব্বান করেছিলেন এবং প্রায় ৬২ লক্ষ টাকার কার্যাদেশ দেয়ার প্রক্রিয়া শেষ পর্যায়ে। এখানে পিডি ও ঠিকাদার কোন কাজ ছাড়াই টাকা ভাগাভগি করে নিবে বলে অধিদপ্তরের একাধিক ঠিকাদার অভিযোগ করেন।
উল্লেখ্য যে, উক্ত প্রকল্পে সিলেট ও লালমনিরহাট অংশে প্রত্যেকটি নির্মাণ কাজের জন্য যে ১০% নিম্নে ছিল পিডি কোন প্রকার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়াই প্রত্যেকটি কাজের বিপরীতে ঠিকাদারের সাথে আতাঁত করে অতিরিক্ত কাজ দেখাইয়া প্রায় ৮-৯% বিল পরিশোধ করে ৬০% থেকে ৪০% হিসাবে ভাগাভাগি করে নিয়েছেস।
আলোচ্য প্রকল্পের সকল কাজের এমবি (মেজারমেন্ট বুক), স্ট্রাকচারাল ডিজাইন, সিডিউল ও বাস্তবে কাজের পরিমান পরিমাপ/পরীক্ষা করা হলে সহজেই সকল চুরি ধরা পড়বে। কারণ কোনটার সাথে কোনটার মিল নেই। এখানে সরকারের ৪০ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে। যা পিডব্লিউডি/এলজিইিড প্রকৌশলী দ্বারা তদন্ত করালেই প্রমানিত হবে।
এ প্রকল্পের আওতায় সম্প্রতি ইকুইপমেন্ট ও আসবাব পত্র ক্রয়ের জন্য যে দরপত্র আহব্বান করা হয়েছিল সেখানেও পিডি তার ই”ছামত ঠিকাদারকে কাজ দেয়ার জন্য স্পেসিফিকেশন ও শর্ত আরোপ করেছেন বলে জানাগেছে।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য পিডি ডা: মো: জাহাংগীর আলমকে কয়েকবার ফোন করলেও তিনি কল রিসিভ করেন নি।