ফরিদপুর প্রতিনিধি : ভোক্তা পর্যায়ে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) মূল্য সরকার নির্ধারণ করে দিলেও ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে সেই দামে গ্রাহকেরা পাচ্ছেন না। সরকার নির্ধারিত দামের চেয়েও ১২ কেজির সিলিন্ডার ৭৯-১২৯ টাকা বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকার গ্যাস বিক্রেতা ও ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।
এলপিজির ১২ কেজি সিলিন্ডার বেশি ব্যবহার হয় গৃহস্থালির রান্নার কাজে। চলতি সেপ্টেম্বরের মাসের শুরুতে দেশে ভোক্তা পর্যায়ে এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ১২ কেজিতে ৪৪ টাকা বাড়িয়ে দর নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ৪২১ টাকা। দেশে ভোক্তাপর্যায়ে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম ১২ কেজিতে এবার ৪৪ টাকা বাড়িয়েছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। এর আগে টানা তিন মাস কমার পর ১২ কেজি সিলিন্ডারে গত দুই মাসে (জুলাই ও আগস্ট) দাম বেড়েছিল। এর মধ্যে জুলাইয়ে বেড়েছিল ৩ টাকা, আগস্টে ১১ টাকা।
মঙ্গলবার ১০সেপ্টেম্বর, উপজেলার বিভিন্ন গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রয়ের দোকানে গিয়ে দেখা যায়, নির্ধারিত মূল্যের চেয়েও ৭৯-১২৯ টাকা বেশিতে বিক্রি হচ্ছে এলপি গ্যাস। সেখানে কথা হয় মো.রবিন নামের এক ক্রেতার সঙ্গে। তিনি বলেন, সরকার ১২ কেজি এলপিজি সিল্ডারের দাম বাড়িয়ে দিলেন ১৪২১ টাকা করেছে। তবে বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে ১৫৫০ টাকায়। তাহলে সরকার কী দাম নির্ধারণ করল আর বাড়তি কাদের পকেটে যায়।
উপজেলার ছোট-বড় বাজারের ব্যবসায়ীরা ডিলার থেকে গ্যাস কিনে খুচরা পর্যায়ে বিক্রি করেন। সুবোধ বিক্রেতা জানান, ডিলাররা সরকারের নির্ধারিত দামের চেয়ে ৫০-৬০ টাকা বেশি নিচ্ছে। কারণে আমাদেরও একটু বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন খুচরা বিক্রেতা বলেন, ‘আমরা কিনি বেশি দামে। সরকারের নির্ধারিত দামে তো আমাদের কাছে বিক্রি করে না, যেই দামে কিনি এর থেকে কিছু লাভ করেই তো বিক্রি করব। সিন্ডিকেট করে দাম বেশি রাখে কোম্পানিগুলো। সরকার কী দাম ঠিক করে দিল না দিল, তা নিয়ে তাদের কোনো মাথাব্যথা নেই। তারা নিজেদের মতো করেই দাম নির্ধারণ করে।’
চরভদ্রাসন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফয়সল বিন করিম বলেন, আমরা নিয়মিত বাজার মনিটর করছি, কোন ভোক্তা এখন পর্যন্ত অভিযোগ দেয়না, কোনো ভোক্তা অভিযোগ করলে আমরা ভোক্তা আইনে ব্যবস্থা নেব। তারপরও এবিষয় আমরা খোঁজ খোবর নিয়ে ব্যবস্থা নিবো।