ফরিদপুরের  চরভদ্রাসনে নিষিদ্ধ জালে মাছ নিধন হুমকিতে জীববৈচিত্র্য

Uncategorized অনিয়ম-দুর্নীতি অপরাধ আইন ও আদালত গ্রাম বাংলার খবর জাতীয় বিশেষ প্রতিবেদন সারাদেশ

ফরিদপুর প্রতিনিধি : ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলার পদ্মানদী, খাল-বিলসহ বিভিন্ন জলাশয় এখন নিষিদ্ধ চায়না দুয়ারি জালে সয়লাব। এই বিশেষ ধরনের জাল পেতে অবাধে মাছ শিকার করছেন অসাধু শিকারিরা। এতে ধরা পড়ছে ছোট-বড় সব ধরনের মাছ। বাদ যাচ্ছে না মাছের পোনাও। এমনকি সাপ, কাঁকড়া, ব্যাঙ, শামুকসহ অধিকাংশ জলজ প্রাণী এতে আটকা পড়ছে। ফলে হুমকিতে পড়েছে জীববৈচিত্র্য ও মৎস্য খাত।


বিজ্ঞাপন

মাঝেমধ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করে চায়না দুয়ারি জব্দ ও অভিযুক্তদের জরিমানা করলেও থামছে না এই দৌরাত্ম্য।সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, চায়না দুয়ারি নির্মূল করা না গেলে প্রকৃত মৎস্যজীবীদের জন্য তা হুমকিস্বরূপ।চায়না দুয়ারি জালে অবাধে মাছ শিকার করছেন অসাধু শিকারিরা। এতে ধরা পড়ছে ছোট-বড় সব ধরনের মাছ। বাদ যাচ্ছে না মাছের পোনাও।


বিজ্ঞাপন

মৎস্যচাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মিহি, সূক্ষ্ম ও চিকন সুতার বুননে চায়না দুয়ারির দুপাশে দুই হাত পর পর লোহার তৈরি গোল রিং এবং মাঝে এক হাত পর পর ৩০টির মতো চার কোনা রিং পরানো থাকে। এর মাঝে একটি করে দুয়ার। এই জালের বিশেষত্ব হলো, পানির তলদেশে এটি লম্বালম্বিভাবে পড়ে থাকে। ফলে কোনো প্রকার টোপ ছাড়াই দুই দিক দিয়ে মাছ ও জলজ প্রাণী জালের ভেতরে ঢুকে পড়ে।

সরেজমিনে দেখা যায় উপজেলার পদ্মা নদীতে, ডোবা, নালা, খাল সব জায়গাতেই চায়না দুয়ারি পেতে ছোট-বড় সব মাছ নিধন করা হচ্ছে। বেশির ভাগ অসাধু জেলে রাতের আঁধারে এ জাল পাতে।

মৎস্যচাষিরা বলেন, চায়না দুয়ারি কারেন্ট জালের চেয়েও মারাত্মক ক্ষতিকর। এ কারণে চিরায়ত মাছ ধরার যেসব কৌশলে মাছ ধরে যাঁরা জীবিকা নির্বাহ করেন; তাঁরা হতাশ এমন পদ্ধতিতে।

উপজেলার মৎস্যজীবী সমিতির আহ্বায়ক বলেন, প্রকৃত মৎস্যজীবীরা চায়না দুয়ারির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। চায়না দুয়ারি নির্মূল করা না গেলে মৎস্যজীবীরা না খেয়ে থাকবেন।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা বলেন, প্রতি মাসেই তাঁরা অভিযান চালিয়ে চায়না দুয়ারি জব্দ করে ধ্বংস করেন। তবে এ ধরনের অভিযান চলমান থাকবে।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *