মোঃ মুকিম উদ্দিন জগন্নাথপুর, (সিলেট) : বিশ্ববাজারে সম্প্রতি দ্রব্যমূল্যের দাম কমলেও বাংলাদেশে কমা তো দূরে থাকুক রেকর্ড পরিমাণ বেড়েছে। সারা বিশ্বে খাদ্য মূল্যস্ফীতি কমে সর্বনিম্ন হয়েছে। এই সময়ে চাল ও চিনি ছাড়া বিশ্ববাজারে প্রায় সব খাদ্যপণ্যের দামই কমেছে। কিন্তু বাংলাদেশে গত বছর থেকেই খাদ্যপণ্যের দাম বাড়ার যে প্রবণতা শুরু হয়েছে তা আর ঠেকানো যায়নি।
মূল্যস্ফীতির কারণ হিসেবে বেশির ভাগ সময় সিন্ডিকেটের দিকে আঙুল তোলা হলেও এর পেছনে আরও বেশ কিছু কারণ রয়েছে। বাংলাদেশ কিছু অসাধু ব্যবসায়ীদের জন্য লাগামহীনভাবে দ্রব্যমূল্য বাড়ে। কিছু আরতদার পণ্য মজুত করে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করেন। ফলে ওই দ্রব্যের মূল্য হঠাৎ বেড়ে যায়। কিছুদিন আগে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির অন্যতম কারণ এটাই ছিল। এতে দেশের সিংহভাগ সম্পদ কুক্ষিগত হয় গুটি কয়েক মানুষের হাতে আর ভোগান্তির শিকার হয় বৃহৎ সাধারণ জনগোষ্ঠী।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নাগরিক জীবনে বিরূপ প্রভাব ফেলে। আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশে এর প্রভাব আরও ভয়াবহ। নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত সবাই ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। এতে সবচেয়ে বিপদে পড়ছে সাধারণ কৃষক, শ্রমিক এবং দিন-আনি-দিন-খাই রোজগারের মানুষজন। নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর অভাবে মানুষের জীবনে নেমে এসেছে অনাহার, অপুষ্টিসহ নানা প্রকার জটিল ব্যাধির প্রকোপ। ফলে সার্বিকভাবে এর প্রভাব পড়ে কোনো একটি দেশের জাতীয় ভাবমূর্তিতে।
কিছু দেশ চাহিদা বজায় রাখতে বর্ধিত দামের ওপর ভর্তুকি দিচ্ছে। কিন্তু দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির চাপ কমাতে বাংলাদেশে অর্থ মন্ত্রণালয় এমন কোনো ব্যবস্থা কখনো নিতে পারেনি।