গণশুনানি মূল্যায়ন না করে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোয় গ্রাহকরা হতাশ

এইমাত্র জাতীয় জীবন-যাপন

নিজস্ব প্রতিবেদক : গণশুনানি ও গণস্বাক্ষরের মূল্যায়ন না করে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোয় গ্রাহকরা হতাশ বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন। শুক্রবার সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এমনটি জানিয়েছে সংগঠনটি।
বৃহস্পতিবার বিকেলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) জানানো হয়, প্রতি কিলোওয়াট ঘণ্টা (কিওঘ) বিদ্যুতের পাইকারি দাম বাড়িয়ে করা হয়েছে ৫ টাকা ১৭ পয়সা। প্রতি কিলোওয়াট ঘণ্টা খুচরা বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে করা হয়েছে ৭ টাকা ১৩ পয়সা। আগামী মার্চ মাস থেকে এ বাড়তি দাম কার্যকর হবে।
অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাবের বিপক্ষে বিইআরসির গণশুনানিতে গ্রাহক প্রতিনিধি হিসেবে অংশগ্রহণ করে আমরা দাবি করেছিলাম, বিদ্যুৎ খাতের দুর্নীতি, অপচয় ও অপব্যয় বন্ধ হলে এবং ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ উৎপাদনকারীদের স্বার্থ না দেখলে এর দাম বাড়ানোর প্রয়োজন হবে না। আমাদের দাবি ছিল, বাজারের মূল্য ও সার্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত থেকে কমিশন সরে আসবে। পাশাপাশি সাধারণ জনগণের মতামত নেয়ার উদ্দেশ্যে সপ্তাহব্যাপী মাঠ পর্যায়ে গণস্বাক্ষর কর্মসূচিও আমরা পালন করি। যেখানে হাজার হাজার জনতা বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি না করার পক্ষে গণস্বাক্ষর করেন। এরপরও গতকাল কমিশন বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির পক্ষ নিয়েছে।
সরকার সাধারণ নাগরিকদের লাইফ লাইন সুবিধা দেওয়ার জন্য যে মূল্য নির্ধারণ করেছিল তাও ৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, এতে সাধারণ গ্রাহকদের ২১৭ দশমিক ৫ টাকা বাড়তি দিতে হবে। পাইকারি পর্যায়ে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির ফলে শিল্পকারখানার উৎপাদন ব্যয় বহুলাংশে বাড়বে। এতে একদিকে যেমন রফতানি প্রতিযোগিতায় দেশ পিছিয়ে পড়বে। অন্যদিকে দেশে সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন ব্যয়ও বাড়বে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ঢাকা ও চট্টগ্রামবাসীর পানির মূল্যও আইন-বহির্ভূতভাবে বাড়ানো হয়েছে। বিদ্যুৎ ও পানির মূল্য বাড়ানোর মাধ্যমে সাধারণ মানুষের ওপর অর্থনৈতিক জুলুমের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। পাশাপাশি সরকারকে এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানাচ্ছি।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *