তারেক রহমান কথা দিলে কি কথা রাখেন ?

Uncategorized জাতীয় ঢাকা বিশেষ প্রতিবেদন রাজধানী সারাদেশ

বিশেষ প্রতিবেদন   :  শুধুমাত্র ঝড়ে যাওয়া হাজারো প্রাণ আর রক্ত মানেই বিপ্লবের উপসংহার নয়। বিপ্লব দানা বাঁধে, পূর্ণতা পায়, উদ্ভাসিত হয় নতুন চিন্তা ও উপলব্ধির হাত ধরে। সময়ের সাথে সাথেই রাজনীতির আয়নায় জুলাই বিপ্লব, ডিক্টেটর হাসিনার ভারতে পলায়নের সাথে গণতন্ত্রের কাঠামোতে এখন অনেক বেশি প্রাসঙ্গিক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।


বিজ্ঞাপন

জনপ্রিয় হচ্ছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। স্ট্রাটেজি ও পলিসি ফোরামের সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যম থেকে সংগৃহীত ডেটা এমনটিই বলছে। যেখানে গড়ে ৭৭.১% মানুষ বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সম্পর্কে ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করেছেন। ডেটা মাইনিং পদ্ধতির মাধ্যমে গণমাধ্যমের ইউটিউব চ্যানেলে প্রচারিত তারেক রহমানের ১২ টি বক্তব্য সম্পর্কে নেটিজেনদের কমেন্ট “ন্যাচারাল ল্যাংগুয়েজ প্রসেসিং” পদ্ধতির মাধ্যমে এনালাইসিস করে সেন্টিমেন্ট নিরূপণ করা হয়েছে।


বিজ্ঞাপন

উল্লেখ্য গত ৫ই আগস্টে ছাত্রজনতার বিপ্লবের হাত ধরে ৮ই আগস্ট শপথ গ্রহণের মাধ্যমে মুহাম্মদ ইউনুসকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়।

জুলাইকে যদি বলা হয় ছাত্রজনতার এক ঐতিহাসিক বিপ্লব, বাংলাদেশের দ্বিতীয় স্বাধীনতা; তবে সেই বাস্তবতায় দৃঢ় কণ্ঠে একাত্মতা ঘোষনা করে ছাত্র সমাজের সাথে জনতার মালা গেঁথেছেন এই তারেক রহমান। সময়ের দাবীকে সামনে রেখে ০৪ আগস্ট লন্ডন থেকে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান, “ছাত্রদের ডাকে সাড়া দিয়ে যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে রাজপথে নেমে আসুন, প্রতিরোধ গড়ে তুলুন।” রাজনৈতিক অভিভাবক হিসাবে গণতন্ত্রের পক্ষে ফ্যাসিবাদের বিপরীতে চলমান সংগ্রামকে টেনেছেন বহুদূর, সুদীর্ঘ সময়।

গণমানুষেরই ইচ্ছার অনিচ্ছার দর্পণ হিসেবে নিজেকে নিজেকে করেছেন প্রতিস্থাপন। নিজের চিন্তা, উপলব্ধি এবং সমসাময়িক প্রজন্মের রূপান্তরকে সামনে রেখে ইনসাফ, মানবাধিকার ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় সিস্টেম ও ন্যায় নীতির পরিবর্তনে নিজের মহত্ত্বকে সামনে এনেছেন। দেখিয়েছেন উদারতা।

তারেক রহমান কথা দিলে কি কথা রাখেন ?

রাখেন তো অবশ্যই। নিজের দলের বিপদগামী, বেপরোয়া হয়ে উঠা বিএনপির এক শ্রেণীর নীতি বিবর্জিত নেতাকর্মীদের শুধু বিতাড়িত নয়, দলীয় ভাবে আইনগত ব্যবস্থাও নিয়েছেন। এসব ঘটনা আলোচিত হয়েছে বেশ দেশীয় গণমাধ্যমে। প্রশংসায় ভেসেছেন তারেক রহমান। ‘টেইক ব্যাক বাংলাদেশ’ ঘোষণার মধ্য দিয়ে জনগণের প্রত্যাশিত বাংলাদেশ জনগণকে ফিরিয়ে দেয়ার যে শপথ তিনি করেছিলেন সে শপথের প্রতি আনুগত্য ও বিশ্বাস উদ্ভাসিত হয়েছে।

দেশব্যাপী প্রশংসায় ভাসলেও ভেসে যান নি তারেক রহমান। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের যে রব উঠেছে সে পরিবর্তনেরও পক্ষে তিনি। লন্ডন থেকে দেয়া এক বক্তব্যে ঘোষণা করেন, দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট সংসদীয় ব্যবস্থা এবং দু-বছরের বেশি প্রধানমন্ত্রীত্ব নয়। এমন ঘোষনায় আর দলের লাগাম শক্ত হাতে টেনে ধরার বাস্তবতার সামনে সমালোচকদের মুখে এঁটে দিয়েছেন কুলুপ। সংবিধান ও রাষ্ট্র ব্যবস্থার গণতান্ত্রিক সংস্কার এবং অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্যে রাষ্ট্র মেরামতে ৩১ দফা ঘোষণা করেছে তার দল বিএনপি।

গণতন্ত্র, সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার স্বপ্নের মধ্য দিয়ে জন-আকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশের পক্ষে তারেক রহমানের রাজনৈতিক আয়না এখন কতটা স্বচ্ছ সেটিকে স্পষ্টতই সামনে এনেছেন।

(লেখকঃ গাজী সাইফুল, প্রবাসী সাংবাদিক, লেখক, সংগঠন।)


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *