মুজিববর্ষের অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সে থাকবেন মোদি

জাতীয়

নিজস্ব প্রতিবেদক : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে (১৭ মার্চ) ভিডিও বার্তার মাধ্যমে যুক্ত থাকবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বুধবার দেশটির পররাষ্ট্র সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।


বিজ্ঞাপন

এদিকে করোনাভাইরাস সংক্রমনের জন্য মুজিববর্ষের অনুষ্ঠানমালা সীমিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ। আনুষ্ঠানিকভাবে তা জানানোও হয়েছে সংশ্লিষ্ট আমন্ত্রিতদের। তবে সেই অনুষ্ঠানে ভারত থেকেই অংশ নেবেন নরেন্দ্র মোদি।

শ্রীংলা বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ১০০টি এবং স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তির স্মারক হিসাবে ৫০টি, মোট ১৫০ অ্যাম্বুলেন্স বাংলাদেশকে উপহার দেয়া হবে, যা বাংলাদেশের সব জেলাতেই কাজ করবে।

এছাড়াও ভারতের পররাষ্ট্র সচিব জানান, শুধু ঢাকা নয় চট্টগ্রাম, বরিশাল, রাজশাহী ও সিলেটে বেশ কিছু প্রকল্পে সহায়তা দেবে ভারত। হয়তো মুজিববর্ষের অনুষ্ঠানেই সেসব ঘোষণা আসবে। এছাড়া ফেনী নদীর সীমান্ত ব্রিজও উদ্বোধন হতে পারে।

বাংলাদেশি পর্যটকদের জন্য ক্রমান্বয়ে সব স্থলবন্দর দিয়ে ভার‌তে যাতায়াতের সীমাবদ্ধতা উঠিয়ে নেয়া হবে বলেও জানান শ্রীংলা।

বর্তমা‌নে সব আন্তর্জাতিক এয়ারপোর্ট ছাড়াও, যশোরের বেনাপোল (ভারতের হরিদাসপুর), চুয়াডাঙ্গার দর্শনা (ভারতের গেদে) স্থল বন্দর দিয়ে ভিসায় উল্লেখ না থাকলেও আসা যাওয়া করতে পারে বাংলাদেশি পর্যটকরা। খুব শিগগিরই সাতক্ষীরার ভোমড়া (ভারতের গোজাডাঙ্গা) ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া (ভারতের আগরতলা) স্থল বন্দর দিয়েও ভিসায় উল্লেখ ছাড়াও যাতায়াত করা যাবে। এ সংক্রান্ত ঘোষণা আসবে শিগগিরই।

তামিল নাড়ুর চেন্নাইতে বাংলাদেশের নতুন কনস্যুলেট চালুর বিষয়টিও চূড়ান্ত হয়েছে বলে জানান হর্ষ বর্ধন শ্রীংলা। অসংখ্য বাংলাদেশি চেন্নাইতে চিকিৎসার জন্য এলেও কনস্যুলার সেবার জন্য তাদের দিল্লি, মুম্বাই অথবা কলকাতার বাংলাদেশ মিশনের ওপর নির্ভর করতে হয়। তাই চেন্নাইতে একটি কনস্যুলেট চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। ভারত সরকারের তরফেও যাবতীয় অনাপত্তি ও আনুষ্ঠানিকতা শেষ করা হয়েছে বলে জানান ভারতের পররাষ্ট্র সচিব।

প্রসঙ্গত, ১৭ মার্চ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর (মুজিববর্ষ) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার কথা ছিল ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুক, কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী সামদেক হুন সেন, ইউনেস্কোর সাবেক মহাসচিব ইরিনা বোকোভাসহ বেশ কয়েকজন বিদেশি অতিথির। এছাড়া কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ও ইতালির প্রধানমন্ত্রী জুসেপ্পে কোন্তের থাকার বিষয়েও আলোচনা চলছিল।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *