ভোগ্যপণ্যের বাজারে অদৃশ্য আতঙ্ক

অর্থনীতি এইমাত্র জীবন-যাপন বানিজ্য রাজধানী স্বাস্থ্য

বিশেষ প্রতিবেদক : করোনার প্রভাব পড়েছে রাজধানীর ভোগ্যপণ্যের বাজারে। বিক্রেতারা বলছেন, আতঙ্কিত হয়ে প্রয়োজনের চেয়ে অতিরিক্ত পণ্য কেনায় প্রভাব পড়ছে দামে। তবে সারাদেশে টিসিবির সাড়ে ৩শ’ ট্রাকে নিত্যপ্রয়োজনীয় ৪টি পণ্য বিক্রি করায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন ভোক্তারা।
এদিকে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, নিত্যপণ্যের পর্যাপ্ত মজুদ থাকায় আতঙ্কিত হয়ে বেশি পণ্য কেনার প্রয়োজন নেই।
অদৃশ্য এক আতঙ্কে সারাদেশ। যার প্রভাব পড়েছে ভোগ্যপণ্যের বাজারে। দাম বাড়ার এবং পণ্য সঙ্কটের ভয়ে প্রয়োজনের চেয়ে অতিরিক্ত পণ্য কিনছেন ভোক্তারা। এ কারণেই দাম বাড়ছে বলে মনে করেন বিক্রেতারা। তবে পণ্য সঙ্কট আর নির্দিষ্ট পণ্যের দাম না কমানোর অভিযোগ করেন ভোক্তারা।
একজন বলেন, যেখানে ১ কেজি লাগবে, সেখানে একজন ক্রেতা ১০ কেজি ক্রয় করছে। কিন্ত কেন এতো পরিমাণ ক্রয় করছে, তাও বলছে না।
আরেকজন বলেন, পাইকারি যেটার দাম ৫০টা প্রতি কেজি। খুচরা বাজারে সেটার ৬০টা কেজি।
এদিকে মুজিববর্ষ উপলক্ষে রাজধানীসহ সারাদেশে গতকাল থেকে ট্রাকে করে নিত্যপণ্য বিক্রি শুরু করেছে ট্রেডিং করপোরেশন বাংলাদেশ-টিসিবি। স্বস্তি প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা।
একজন বলেন, রমজানের আগে এটা শুভ উদ্যোগ। কারণ বাজার মূল্যের চেয়ে অনেক দামে ক্রয় করা যাচ্ছে এখান থেকে।
আরেকজন বলেন, এখানে তেল ৮০ টাকা লিটার, আর ডাল ৫০ টাকা কেজি।
বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসহ সব ধরনের পণ্যের মজুদ ও সরবরাহ আছে। তাই আতঙ্কিত হয়ে বেশি পণ্য না কেনার আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, আমাদের কাছে যা মজুদ রয়েছে, তাতে কোনো অবস্থাতেই দাম বাড়ার কারণ নেই।
এদিকে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ভোক্তারা যেনো আতঙ্কিত না হয় এবং কোনো ব্যবসায়ী যদি পুঁজি করে বাজারে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। তাহলে সরকার চুপ করে বসে থাকবে না। কারণ আমাদের পর্যাপ্ত খাদ্য মজুদ রয়েছে।
টিসিবির খোলাবাজারে পণ্য কেনার কার্যক্রম ৩১ মার্চ পর্যন্ত চলবে।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *