কীটের অনুমোদন পেল গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র

এইমাত্র জাতীয় জীবন-যাপন স্বাস্থ্য

নিজস্ব প্রতিবেদক : করোনাভাইরাস টেস্টিং কীট তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে বাংলাদেশের বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা সংস্থা গণস্বাস্থ্যকেন্দ্র। দু’দিন প্রতিষ্ঠানটি সরকারের অনুমতি অপেক্ষায় ছিল। তবে সরকার আজ দুপুর ১টার কিছুক্ষণ পর গণস্বাস্থ্যকেন্দ্রকে কীটের কার্যক্রম শুরুর অনুমতি দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বিষয়টি জানিয়েছে। তিনি জানান, সরকার বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় অনুমতি দেয়ার কথা ছিল। অনুমতি পেয়েছি। সরকারকে ধন্যবাদ।
এর আগে বুধবার গণস্বাস্থ্যকেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, সরকার যাতে করোনাভাইরাস টেস্টিংয়ের জন্য আবিষ্কৃত কীটের প্রয়োজনীয়তা দ্রুত বুঝে। আশা করি, কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই অনুমতিটা সরকার দিয়ে দেবে। পরে দিলে আমাদের হাতে আর তেমন কিছু করার সময় থাকবে না।
ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, হাতে সময় থাকলে আমরা কিছু সামগ্রী অর্ডার করতে পারব। যুক্তরাজ্য থেকে কাঁচামাল আনতে সহজ হবে। এটা তৈরি, স্পেশাল প্যাকিং ও কুরিয়ারসহ যাবতীয় প্রসেসিংয়ের জন্য ৪ থেকে ৫ দিন সময় লাগবে। তারপর তা নিয়ে আমরা বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় কাজ করে দশ দিনের মধ্যে নমুনা কীট তৈরি করতে পারব। আর ১ মাসের মধ্যে অন্তত ১০ হাজার কীট বাজারে সরবরাহ করতে পারব। প্রথম মাসে ১০ হাজার পরের মাস থেকে ১ লাখ কীট সরবরাহ করতে পারব। যা বাংলাদেশের জন্য পর্যাপ্ত হবে।
এর আগে মঙ্গলবার গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের জ্যেষ্ঠ জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. ফরহাদ স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পক্ষ থেকে বলা হয় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠান গণস্বাস্থ্য-আরএনএ বায়োটেক লিমিটেড কোভিড-১৯ শনাক্তে একটি কিট তৈরির শেষ ধাপে রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির উচ্চ দক্ষতাসম্পন্ন একটি দল গত ফেব্রুয়ারি থেকে কিট তৈরি ও উৎপাদনের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। এ দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ড. বিজন কুমার শীল, যিনি ২০০৩ সালে সার্স পিওসি কিট তৈরি করা দলের সদস্য ছিলেন। করোনার পরীক্ষায় প্রয়োজনীয় রিএজেন্ট ও সরঞ্জাম প্রস্তুতের শেষ ধাপে রয়েছে দলটি।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, অনুমতির জন্য এরই মধ্যে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরে (ডিজিডিএ) আবেদন করেছে গণস্বাস্থ্য-আরএনএ বায়োটেক লিমিটেড। কর্তৃপক্ষ অনুমোদন দিলে এক মাসের মধ্যে করোনা পরীক্ষার কিট প্রস্তুতে গণস্বাস্থ্য-আরএনএ বায়োটেক লিমিটেড প্রস্তুত রয়েছে। সংশ্লিষ্টরা প্রত্যাশা করছে, বিভিন্ন গবেষণাগারে এই কিট ২০০ টাকায় সরবরাহ করা যাবে এবং সাধারণ মানুষ পরীক্ষাটি ৩০০ টাকার মধ্যে করাতে পারবে।
গণস্বাস্থ্য-আরএনএ বায়োটেকের পক্ষে গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল ডা. মুহিব উল্লাহ খন্দকার বলেন, এই কিট উৎপাদনে কাজ করেছেন ড. বিজন কুমার শিল, ড. নিহাদ আদনান, ড. মোহাম্মদ রঈদ জমির উদ্দিন এবং ড. ফিরোজ আহমেদ।
ডা. মুহিব উল্লাহ খন্দকার জানান, এ ধরনের কিট উৎপাদন করতে হাইটেক ল্যাব প্রয়োজন। ইতিমধ্যে গণস্বাস্থ্য-আরএনএ বায়োটেক একটি হাইটেক ল্যাব স্থাপন প্রক্রিয়া শুরু করেছে। ওষুধ প্রশাসনের অনুমোদন পেলেই আমার প্রয়োজনীয় উপাদান আমদানি করব। সব মিলিয়ে উৎপাদন করতে আমাদের এক মাস সময়ের প্রয়োজন। প্রাথমিকভাবে আমরা ১০ হাজার ভাইরাস শনাক্তকরণ কিট উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছি। এই কিট ব্যবহার করতে হলে অবশ্যই ল্যাবটি ‘তৃতীয় স্তরের’ বায়োসেফটি হতে হবে।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *