সুনামগঞ্জ জেলার  ছাতকের সোনাই নদীর বালু লুটে সক্রিয় সিন্ডিকেট ; ২৬ কোটি টাকার বিএডিসি’র নির্মাণাধীন প্রকল্প রাবার ড্যাম হতে ৩০ ফুট দূর থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের  মহোৎসব

Uncategorized অনিয়ম-দুর্নীতি অপরাধ আইন ও আদালত গ্রাম বাংলার খবর জাতীয় বিশেষ প্রতিবেদন সারাদেশ সিলেট

এম এ এইচ শাহীন (সুনামগঞ্জ)  : সিলেটের  সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের সোনাই নদীতে রাতের আঁধারে অবৈধভাবে বালু লুটপাট ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা। কৃষকের উন্নয়নে বিগত ২০১০সালে ২৬ কোটি টাকার ব্যায়ে কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) এর অর্থায়নে নির্মাণাধীন সরকারের প্রকল্প রাবার ড্যাম। হতে প্রায় ৩০ ফুট দূর থেকে অবৈধভাবে বালু মহোৎসবে উত্তোলন ও লুটপাট চলছে।


বিজ্ঞাপন

সরেজমিন পর্যবেক্ষণে গিয়ে লক্ষ্য করা যায় যে (রাবারড্যাম বাজার) বাহাদুরপুর বৈশাকান্দি গ্রাম ব্যাপকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন।সুনাই নদীর পূর্ব এবং,পশ্চিম পাড়,ফসল রক্ষা বাঁধের লাগানো ব্লক ধসে পড়ে নদীতে বিলীন হওয়া সময়ের ব্যাপার।


বিজ্ঞাপন

এলাকাবাসীর ক্ষোভ সরকার প্রশাসনের নিরবতা এনিয়ে নেই কারো দ্বায়।আরো জানা যায় সেখানে সর্বদলীয় আওয়ামীলীগ বিএনপি জামায়াতের লোকজনের নেতৃত্বে রাতের আঁধারে ২০০ থেকে ৩০০ নৌকায় করে তারা অবাধে সেইভ মেশিনের দ্বারা বালু লুটপাট করে লাখ লাখ টাকা ভাগ বাটোয়ারা করে চলছেন।


বিজ্ঞাপন

সরকার যেখানে রাজস্ব হারাচ্ছে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে এবং যে কোন সময় নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে। নদীর পাড়ে বসবাসকারী মানুষের ঘরবাড়ি ও শতশত আবাদকৃত ফসলী জমি। এই বালু লুটপাট উত্তোলনের পিছনে রয়েছে বিশাল সিন্ডিকেট। উল্লেখ্য যে-৩টি গ্রুপের নেতৃত্বে চলছে সুনাই নদীতে মহোৎসবে বালু উত্তোলন লুটপাট। (১ম গ্রুপ) এর নেতৃত্ব দিচ্ছেন ইসলামপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান জামায়াত নেতা সুফি আলম সুহেল,ও তার নেতৃত্বে বাহাদুরপুর, বৈশাকান্দি গ্রামের আমির উদ্দিনের ছেলে আওয়ামীলীগ সমর্থক,খোকন মিয়া, নেকির মিয়া,শুক্কুর আলী। (২য় গ্রুপ) গাঙপাড় নোয়াকুট গ্রামের সোনা মিয়া হাজীর ছেলে বিএনপি নেতা কামরুল ইসলাম, শাহিদ আলম, রফিকুল ইসলাম,আসদ্দর আলী, রমজান আলী,মোহাম্মদ আলী। (৩য় গ্রুপ) আ:লীগের রফিক মিয়া, আব্দুল্লাহ,জয়নাল মিয়া, সাদ্দাম মিয়া,রফিক মোল্লা,আরফান মিয়া, শাহাদাত আলম, জামায়াত নেতা রায়হান মিয়া প্রমুখ। এলাকাবাসীর দাবি বর্তমান ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হয়েও সুফি আলম সুহেল,তিনি কিভাবে এই সরকারী লিজ বহির্ভূত অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে জড়িত।

এনিয়ে ও চলছে সারা ইউনিয়ন জুড়ে সমালোচনার ঝড়। চেয়ারম্যান সুফি আলম সুহেলের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি কোন বালু উত্তোলনে জড়িত নই কিছু স্বার্থান্বেষী মহলের অপতৎপরতা চলছে, রাবার ড্যামের এখানে বালু উত্তোলনের প্রশ্নই ওঠে না।আরো বেপরোয়া উক্ত বালু সিন্ডিকেট চক্র, তারা পরিবেশ-প্রতিবেশ কিছুই মানছে না নেই প্রশাসনিক কোন ভয়ভীতি। তাদের কুটির জোর কোথায়..। সরকারী সম্পদের ক্ষতি করে তারা হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা।

এবিষয়ে ছাতক উপজেলার নির্বাহী অফিসার মো: তরিকুল ইসলাম,এর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে, তিনি বলেন, বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে দেখা হবে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। সরকারের সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি জনজীবনে অস্থিরতা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পুলিশের যোগসাজশ রয়েছে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসী জানান, ছাতকের থানাপুলিশ ম্যানেজ করে তারা সুনাই নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছেন।

উক্ত বালুখেকোদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে জরুরি প্রদক্ষেপ প্রয়োজন। এবিষয়ে ছাতক থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোখলেছুর রহমান আকন্দ বলেন, আমাদের থানা পুলিশের কেউ জড়িত নয়। তবে কেউ জড়িত হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে, আইনশৃঙ্খলার উন্নতিতে থানাপুলিশ কাজ করছে বলে জানান। এটা আমার আওতাধীন নয় নদী তো, তাই ছাতক নৌ পুলিশের সাথে এবিষয়ে জানতে পারেন। ফোন করলে নৌ পুলিশকে পাওয়া যায়নি।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *