নিজস্ব প্রতিবেদক : খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের বৈঠকে নেতৃবৃন্দ বলেন- সরকারের দেওয়া সময়সীমার প্রথমার্ধের মধ্যে সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন অনুষ্ঠানে কোন বিরোধ নেই। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সাথে বৈঠকে রাজনৈতিক দলগুলো অধিকাংশ সংস্কার প্রস্তাবের সাথে একমত। ফ্যাসিবাদীদের বিচার কার্যক্রম দৃশ্যমান হয়েছে। এখন দ্রুততম সময়ের মধ্যে ন্যয়বিচার নিশ্চিত করতে হবে। নির্বাচনের সুষ্পষ্ট তারিখ ঘোষণা না করলে বিরাজমান অস্থিরতা কমবে না। ঐকমত্যের ভিত্তিতে অবিলম্বে জুলাই সনদ চূড়ান্ত করে নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা করতে হবে। রাজনৈতিক দল ও সরকারের মধ্যে আস্থার জায়গাটি ঠিক রাখার মূল দায়িত্ব অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধানের। এক্ষেত্রে জনগণ সরকারকে সকল প্রকার সহযোগীতা করতে প্রস্তুত রয়েছে।

বিগত ফ্যাসিবাদী সরকার ঘুষ, দুর্নীতি, অর্থ পাচার, অপচয় ও অব্যবস্থাপনার মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিকে বিপর্যস্ত করে রেখে গেছে। বিশাল ঋণের বোঝার মধ্যে দেশকে ডুবিয়ে তারা পালিয়ে গেছে। অর্থ উপদেষ্টার উপস্থাপিত বাজেটে এ বিপর্যস্ত অর্থনীতিকে টেনে তুলার আরো ব্যবস্থা থাকার দরকার ছিল। রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনা করে ২০২৫-২৬ আর্থিক বছরের বাজেট ঘোষণা করা উচিত ছিল। এখন বিপর্যস্ত অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে দেশী বিদেশী বিনিয়োগ, দুর্নীতির সকল পথ বন্ধ করে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও রেমিটেন্স বৃদ্ধিতে জোর দিতে হবে। পাচারকৃত অর্থ ফিরিয়ে আনার কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।

খেলাফত মজলিস নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, পশুখাদ্যের উচ্চমূল্যের কারণে কুরবানি পশুর চড়া দাম এবং বিভিন্ন অঞ্চলে বন্যায় এবার হয়তো অনেকের ঈদ আনন্দ পরিপূর্ণ করতে বাধাগ্রস্থ করবে। দরিদ্র-অসহায় মানুষও যাতে ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে পারে সামর্থবানদের এক্ষেত্রে এগিয়ে আসতে হবে। কুরবানি পশুর চামড়ার ন্যায্য মূল্য নিশ্চিতে সরকারকে অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সড়ক ও ঘর-বাড়ীর নিরাপত্তায় প্রশাসনের সর্বোচ্চ সহযোগীতা প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে হবে।

বৈঠকে আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতার জন্য খেলাফত মজলিসের সম্ভাব্য প্রার্থীদেরকে স্ব স্ব সংসদীয় আসনে তৎপরতা জোরদার করার আহ্বান জানানো হয়। যথাসময়ে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হবে।
গতকাল সন্ধ্যা ৭টায় খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় নির্বাহী বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন নায়েবে আমীর অধ্যাপক আবদুল্লাহ ফরিদ। মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদেরের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত উক্ত নির্বাহী বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম-মহাসচিব এডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসাইন, মুহাম্মদ মুনতাসির আলী, ড. মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সল, অধ্যাপক মো: আবদুল জলিল, সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মিজানুর রহমান, অধ্যাপক কাজী মিনহাজুল আলম, প্রশিক্ষণ সম্পাদক মো: জহিরুল ইসলাম, প্রচার ও তথ্য সম্পাদক প্রকৌশলী আবদুল হাফিজ খসরু, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রিফাত হোসেন মালিক, আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট হাফেজ মাওলানা শায়খুল ইসলাম, খন্দকার শাহাবুদ্দিন আহমদ, মুফতি আবদুল হক আমিনী, জিল্লুর রহমান, মাওলানা সাইফুদ্দিন আহমদ খন্দকার, শায়খুল হাদীস মাওলানা আবদুস সামাদ, মাওলানা ফারুক আহমদ ভূঁইয়া, প্রিন্সিপাল মাওলানা আজিজুল হক, এডভোকেট মাওলানা রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।