চট্রগ্রাম প্রতিনিধি : সরকারি নীতিমালার তোয়াক্কা না করে একের পর এক প্রকল্প বাস্তবায়নের অভিযোগ উঠেছে চট্টগ্রামের রহমতগঞ্জ গণপূর্ত বিভাগ-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী জহির রায়হানের বিরুদ্ধে। এ ছাড়া ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের দলগত ঠিকাদারদের সিন্ডিকেটকে পৃষ্ঠপোষকতা করা এবং সাধারণ ঠিকাদারদের কাজ না দেওয়ায় তার বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছেন একদল ঠিকাদার।

এক গোপন নথিতে দেখা গেছে, প্রকল্প অনুমোদনের আগে স্টিমেট এমাউন্ট ও কাজের কোড লিখে রেখেছেন তিনি যা সরাসরি পাবলিক প্রকিউরমেন্ট রুলস ২০০৮-এর লঙ্ঘন।

উক্ত বিধিতে উল্লেখ আছে যে, যদি টেন্ডার আহ্বানের আগেই প্রকল্পের আর্থিক বিবরণী চূড়ান্ত করা হয় তবে তা হবে ৩২ ও ৬২ ধারার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। ১১: টেন্ডার ছাড়া কোনো কাজ নিষিদ্ধ ৩২: স্টিমেট বা কোড ফাঁস শাস্তিযোগ্য অপরাধ ৬২: প্রতিটি প্রকল্পের ওপেন টেন্ডার বাধ্যতামূলক।

একাধিক ঠিকাদার দাবি করেছেন, নিয়মবহির্ভূতভাবে কাজ বিতরণ করা হচ্ছে কিন্তু ভয়ে তারা প্রকাশ্যে কিছু বলতে পারছেন না। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ঠিকাদার জানান, প্রকৌশলী জহির রায়হান নিজেই ঠিকাদার ঠিক করেন। আমরা অনেকেই বারবার আবেদন করেও কাজ পাই না।

এই প্রকৌশলীর অপসারণ ও তার অনিয়ম দুর্নীতির তদন্ত চেয়ে গত ১১ মে ২০২৫ রহমতগঞ্জ গণপূর্ত ভবনের সামনে মানববন্ধন করেন সাধারণ ঠিকাদাররা। তাঁদের অভিযোগ, নিয়ম ভাঙা, স্বজনপ্রীতি ও অর্থ লেনদেনে যুক্ত প্রকৌশলী জহির রায়হান।
এই খবর গণমাধ্যমে প্রচারিত হলেও তাঁর বিরুদ্ধে এখনো কোনো ব্যবস্থা নেয়নি গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। প্রশ্ন উঠেছে উচ্চ পর্যায়ের এই নীরবতা কি প্রশাসনিক উদাসীনতা, নাকি প্রভাবশালীদের ছত্রছায়া? অনিয়ম,দুর্নীতির সাক্ষ্য প্রমাণ থাকার পরও যদি জবাবদিহিতার ব্যবস্থা না করা হয় তবে শুধু গণপূর্ত নয়, আস্থা হারাবে অন্তর্বতীকালীন সরকার।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম রহমতগঞ্জ গণপূর্ত বিভাগ-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী জহির রায়হান বলেন, কাজ দিতে না পারলে ঠিকাদাররা এ ধরনের অভিযোগ তুলে থাকেন। তবে তাদের সাথে বিষয়টি মিমাংশা হয়েগেছে। প্রধান প্রকৌশলী মো: শামীম আখতারের বক্তব্য চেয়ে তার সেল ফোনে ক্ষুদে বার্তা পাঠালেও তিনি কোন মতামত দেন নি।