নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে মেডিসিনাল প্লান্টস এন্ড হারবাল প্রডাক্টস বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিল এবং বাংলাদেশ ইউনানী ঔষধ শিল্প সমিতির যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ইউনানী ঔষধের আধুনিক মোড়কায়ন ও গবেষণা ভিত্তিক নতুন ফর্মুলা উদ্ভাবন শীর্ষক জাতীয় সেমিনার ঢাকার ফার্মগেইট খামার বাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ এর থ্রিডি অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ও বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিলের পরিচালক ড. মো: রাজ্জাকুল ইসলাম। এবং সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ইউনানী ঔষধ শিল্প সমিতির সভাপতি ড. সাঈদ আহমেদ সিদ্দিকী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের নেতা মোঃ ফারুক হোসেন।

মূল প্রতিবেদক উপস্থাপন করেন জেডএন ল্যাবরেটরিজ ইউনানীর সিইও ডা. নুরুজ্জামান সরকার মিলন।

আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইউনানী ডক্টরস সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক ও শিরিন ল্যাবরেটরিজ ইউনানীর ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাকীম মোঃ রেজাউল করিম, বাংলাদেশ সেন্টার ফর রিসার্চ ইন ইউনানী আয়ুর্বেদিক মেডিসিনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা প্রিন্সিপাল আব্দুর রব খান, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সাবেক ইউনানী বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শাহ ইহলাম উল্লাহ চিশতী, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের ইউনানী বিশেষজ্ঞ ডা. আমিনুল বারী কানন, অলটারনেটিভ মেডিকেল কেয়ার এএমসির ডিপিএম (ইউনানী) ডা. মির্জা লুৎফর রহমান লিটন।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পরিচালক মোঃ সফিকুল ইসলাম ও মিরপুর সরকারি ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের অধ্যক্ষ কাম অধীক্ষক ডা. রাশিদুজ্জামান খান।
উক্ত সেমিনারে ডা : আমিনুল বারী কানন বলেন, এভাবে সেমিনার করে ইউনানী ঔষধের আধুনিকায়ন করা যাবেনা। প্রতিষ্ঠানিক গবেষণা ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে এবং আজগুবি ট্রেড নামের ঔষধ উৎপাদন ও বাজারজাত বন্ধ করতে হবে।
ঔষধ প্রশাসনের পরিচালক সফিকুল ইসলাম বলেন, ঔষধের এ্যানেক্সার অনুপাতে এক রোগের উপাদান দিয়ে একাধিক রোগের কার্যকরীতার বর্ননা দেয়া যাবেনা।
আধুনিকায়নের নামে লেবেল কার্টনে অপ্রাসঙ্গিক ছবি বা চমকপ্রদ গেটাপ না করে বাংলাদেশ জাতীয় ইউনানি ফর্মুলারি অনুযায়ী সঠিক উপাদান দিয়ে ঔষধ তৈরি করুন যাতে মানুষ সেবন করে উপকৃত হয়।
বিপিসির পরিচালক রাজ্জাকুল ইসলাম বলেন, ইউনানী ঔষধের কোনো সাইড এফেক্ট নেই। তাহলে সাধারণ মানুষ কেন ভেষজ ঔষধ নিয়ে ভিন্নমত পোষণ করেন। সঠিক উপাদান দিয়ে সঠিকভাবে ঔষধ উৎপাদন করলে এই শিল্প বিশ্বের কাতারে স্থান পাবে। সংগঠনের সভাপতি ড. সাঈদ আহমেদ সিদ্দিকী বলেন, ইউনানী শিল্পের উন্নয়নে আমরা সংগঠনের সকল সদস্য ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করছি।
সরকার বিপিসির মাধ্যমে আমাদের যথেষ্ট সহযোগিতা করছে। ঔষধ প্রশাসনের পরিপূর্ণ সহযোগিতা পেলে এই শিল্পের আরো উন্নয়ন ঘটবে। তবে সবাইকে অনুমোদিত ফর্মুলায় সঠিক মানের ঔষধ উৎপাদনে সচেতন হতে হবে। যাতে সাধারণ মানুষ এই শিল্প নিয়ে ভিন্নমত পোষণ করতে না পারে।
সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন বেঙ্গল ল্যাবরেটরিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবিএম সিরাজুল হক সাজিদ ,ইউনিড্রাগ ইউনানী ল্যাবরেটরিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. আব্দুস সাত্তার তুর্য, গ্রামীণ ফার্মাসিউটিক্যালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ মাহবুবুল আলম, হ্যাপি ফার্মাসিউটিক্যালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ ফজলে বারী কবির, এম.এস ল্যাবরেটরিজের পরিচালক মোঃ মাহবুবুল ফারুক, প্যারেন্ট ইউনানী ল্যাবরেটরিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম মোস্তফা বকুল।
এ ছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন, ম্যাবকো ফার্মাসিউটিক্যালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ আব্দুল আলীম, এস এস ল্যাবরেটরিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ সাখাওয়াত হোসেন, জনস্বাস্থ্য ফার্মাসিউটিক্যালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ শাহ আলম, আধুনিক ল্যাবরেটরিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাকিম আবু ইউসুফসহ সংগঠনের অন্যান্য সদস্যবৃন্দ এবং ইউনানী ডক্টরস সোসাইটির সদস্যবৃন্দ।