চারটি বিদেশি পিস্তলসহ ১১ জন আটক : বড় ধরনের অপরাধের ছক ভেস্তে দিল পুলিশ

Uncategorized অপরাধ আইন ও আদালত খুলনা গ্রাম বাংলার খবর জাতীয় প্রশাসনিক সংবাদ বিশেষ প্রতিবেদন সারাদেশ

মোঃ সাইফুর রশিদ চৌধুরী  : বাগেরহাট জেলার মোল্লাহাট উপজেলা ও গোপালগঞ্জ জেলার  সংযোগ সেতু মধুমতি নদীর ওপর নির্মিত আবুল খায়ের সেতুর টোলপ্লাজা এলাকায় সাঁড়াশি অভিযানে চারটি বিদেশি পিস্তল, একটি ধারালো ছুরি এবং একটি মাইক্রোবাসসহ ১১ জনকে আটক করেছে বাগেরহাট জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ ও মোল্লাহাট থানা পুলিশ।


বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার ২৬ জুন সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর যৌথ অভিযানে এই বিপুল অস্ত্রের চালানসহ সন্দেহভাজনদের আটক করা হয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এই দলটি কোনো বড় ধরনের অপরাধ সংগঠনের উদ্দেশ্যে ঝিনাইদহ জেলা থেকে মোল্লাহাটে এসেছিল।


বিজ্ঞাপন

বাগেরহাট জেলা পুলিশ সুপার মো. তৌহিদুল আরিফ জানান, “গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা জানতে পারি, অস্ত্র বহনকারী একটি মাইক্রোবাস ঝিনাইদহ থেকে মোল্লাহাটের দিকে আসছে। গাড়িতে মোট ১১ জন আরোহী রয়েছে, যাদের মধ্যে ১০ জন সশস্ত্র এবং অপরজন চালক। তারা মোল্লাহাট এলাকায় বড় ধরনের কোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের প্রস্তুতি নিচ্ছিল।”


বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, “তথ্য পাওয়ার পরপরই আমরা গোয়েন্দা ইউনিট এবং মোল্লাহাট থানার একটি টিম নিয়ে টোলপ্লাজা এলাকায় অবস্থান নিই। সন্দেহভাজন মাইক্রোবাসটি শনাক্ত করে থামানো হয় এবং তল্লাশি চালিয়ে চারটি বিদেশি পিস্তল, একটি ছুরি এবং কিছু গুরুত্বপূর্ণ আলামত উদ্ধার করা হয়।”


বিজ্ঞাপন

পুলিশ সূত্রে অস্ত্রের উৎস ও উদ্দেশ্য তদন্তাধীন রয়েছে বলে জানান, আটককৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকার করেছে যে, তারা সংঘবদ্ধ একটি চক্রের অংশ এবং পূর্বপরিকল্পিত একটি বড় ধরনের ‘অপারেশন’-এর জন্য এসেছিল। তবে ঠিক কী ধরনের অপরাধ সংঘটনের উদ্দেশ্য ছিল তা তদন্তাধীন। অস্ত্রগুলো কোথা থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে এবং এগুলো কারা সরবরাহ করেছে—সে বিষয়েও খোঁজখবর নিচ্ছে পুলিশ।

পুলিশ সুপার জানান, “আটকদের জিজ্ঞাসাবাদে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। গোয়েন্দা নজরদারি আরও বাড়ানো হয়েছে। দ্রুতই আমরা এই চক্রের পেছনে থাকা মূল হোতাদের খুঁজে বের করব।”

এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয়দের মাঝে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। মোল্লাহাটের সাধারণ মানুষ মনে করছেন, পুলিশ সময়োচিত পদক্ষেপ না নিলে বড় ধরনের প্রাণঘাতী ঘটনা ঘটতে পারত। স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশের পেশাদারিত্বপূর্ণ তৎপরতার প্রশংসা করেছেন এবং অনুরোধ জানিয়েছেন—এ ধরনের অভিযান যেন আরও জোরদার করা হয়।

আটকদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে আদালতে প্রেরণের প্রস্তুতি চলছে। পুলিশ জানিয়েছে, মামলার পর বিস্তারিত তথ্য সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জনসাধারণকে জানানো হবে।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *