নিজস্ব প্রতিবেদক : ঘরে থেকে চার দেয়ালের মাঝে বন্দী থাকাই যেখানে রোগের মূল পথ্য, সেখানে মাঠে থেকে যোদ্ধার ভূমিকায় কাজ করছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
মাঠের এই যোদ্ধারা শুধু নিরাপত্তা বিধানই নয়, কাজ করছেন কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে সচেতনতা বৃদ্ধি, ক্ষুধার্তের বাসায় খাবার পৌঁছে দেয়া এমনকি লাশ দাফনেও। বিশিষ্টজনরা মনে করেন, লড়াকু এই সৈনিকদের সাহসিকতা আর সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় মুক্তি একদিন মিলবেই।
এ এক নিদারুণ অসহায়ত্বের গল্প। একাকিত্বের আখ্যান। জীবনে এমন দিনও আসবে কে ভেবেছে কবে। ছিলনা বন্ধু- স্বজনের অভাব কিন্তু শেষ বিদায়ের ক্ষণে সবাই যখন নিরাপদ দূরত্বে তখন এগিয়ে এসেছে পুলিশ। বন্ধু হয়ে কাঁধে তুলে নিয়েছে জীবানুর বিরুদ্ধে হেরে যাওয়া বন্ধুরই লাশ।
নানা সমালোচনা, উপহাস, বিদ্রুপ, কটাক্ষ। কতো কিছুই না সহ্য করতে হয় পুলিশকে। সেই পুলিশ সদস্যই নিজের বেতনের টাকায় স্কুল শিক্ষার্থীদের কিনে দেন মাস্ক। যেখানে নিজেরই থেকে যায় পর্যাপ্ত সুরক্ষা সামগ্রীর অভাব।
নিম্নবিত্ত-কর্মহীন মানুষের আহার নিয়ে উদ্বিগ্ন যখন অনেকেই তখন- পুলিশ- কানে ভেসে আসে মধ্যবিত্তের বোবা কান্না। পরিচয় গোপন রেখে খাবার পৌঁছে দেয়ার দায়িত্ব নেয় পুলিশই।
সমাজকর্মীরাও স্বাগত জানাচেছন পৃথিবীর চরম ক্রান্তিকালে ৫৬ হাজার বর্গমাইলের লাল সবুজ বাংলাদেশকে নিরন্তর সেবা নিয়ে যাওয়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যদের।
অদৃশ্য জীবাণুর বিরুদ্ধের এই লড়াইয়ে মাঠের যোদ্ধাদের ভূমিকা প্রেরণা যোগাবে ঘরে থাকা যোদ্ধাদেরও।