বাংলাদেশ শিশু হাসপাতালে মাসুদ রানা ও নান্নুর ভয়ংকর সিন্ডিকেট  :  অগ্রীম টাকা নিয়ে রোগী পাচার করা হচ্ছে বেসরকারী হাসপাতাল ও ক্লিনিকে  !

Uncategorized অনিয়ম-দুর্নীতি অপরাধ আইন ও আদালত জাতীয় ঢাকা বিশেষ প্রতিবেদন রাজধানী স্বাস্থ্য

বিশেষ প্রতিবেদক  :  বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ঢাকা এর সিকিউরিটি অফিসার মাসুদ রানা ও ওয়ার্ড মাস্টার নান্নুর বিরুদ্ধে বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে রোগী পাচার, ফুটপাতে হকার বসিয়ে চাঁদাবাজি ও ভর্তি রোগীদের আত্মীয় স্বজনদের রাত্রী যাপনে অর্থ আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে।


বিজ্ঞাপন

এ ছাড়া ওয়ার্ড বয় মোবারক, মানিক, মোশারফ ওয়ার্ড মাস্টার জাহিদ এদের সাথে আনসার কমান্ডারও যুক্ত রয়েছে।
এরা সবাই মিলে একটি সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছে।


বিজ্ঞাপন

এই সিন্ডিকেট এতটাই শক্তিশালী যে তারা কর্তব্যরত ডাক্তারদের যেটা বলে তারা সেটাই শুনেন এবং সেই হিসাবে এইসব ডাক্তাররা বিভিন্ন ক্লিনিকে এদের কথা অনুযায়ী রোগীগুলি রিফার্ট করেন। আর রেফার করতে পারলেই প্রতিদিন বাইরের ক্লিনিকে ২৫ থেকে ত্রিশ হাজার টাকা আয় হয়।


বিজ্ঞাপন

এসব কোমলমতি বাচ্চাদের অভিভাবকরা চিকিৎসার খরচ (বিল) দিতে না পেরে জায়গা জমি ও গরু ছাগল থাকলে বিক্রি করে বিল পরিশোধ করেন। বাংলাদেশ শিশু হাসপাতালে এত ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করেছে যে বর্তমানে মনে হচ্ছে সবচাইতে বেশি দুর্নীতি হচ্ছে বাংলাদেশ শিশু হাসপাতালে।


বিজ্ঞাপন

আরো জানাগেছে,বাংলাদেশ শিশু হাসপাতালের আনসার সদস্য,ওয়ার্ডবয় এবং পিয়ন টাকা ছাড়া কিছুই বোঝেনা।
আগে যেমন দেখা গেছে প্রতিটা বাচ্চাদের টেস্টের রিপোর্ট ওয়ার্ডবয় পিয়ন এবং আয়ারা নিয়ে প্রতিটা সিটে পৌঁছায় দিত এখন ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়ায় থেকেও রিপোর্ট পায় না। তার কিছু চিত্র তুলে ধরা হলো।

হাসপাতালের সামনে হকার ও দোকান বসিয়ে এই সিন্ডিকেট প্রতিদিন দোকান প্রতি ২০০/- থেকে ৩০০/- টাকা আদায় করছে। রাস্তার অর্ধেকেরও বেশি জায়গা এই দোকান আর অ্যাম্বুলেন্স দিয়ে সবসময় ভরে রাখা হয়। বিএনপির নেতা পরিচয়ে পিচ্চি ফারুক এদেরকে মদত দেয়।

এরা আসলে বিএনপির কিছুই না। এই সিন্ডিকেট প্রধান সিকিউরিটি অফিসার মাসুদ রানা। তারা যে সব ক্লিনিক থেকে এডভান্স টাকা নিয়ে আসছে এর একটি তালিকা উপস্থাপন করা হোল। বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল কর্তৃপক্খ কেন যে এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না সেটাই সকলের প্রশ্ন।

এদিকে একটি ডাক্তার সিন্ডিকেট এই হাসপাতালকে বিএনপির ড্যাবের অফিস বানিয়ে ফেলেছে। শিশু হাসপাতালের চেয়ারম্যান প্রতিদিন এসে এই হাসপাতালে অফিস করেন। যা একটি নজিরবিহীন ঘটনা।৷ অতীতে কখনো এমন ঘটনা ঘটেনি। বোর্ড মিটিং ছাড়া চেয়ারম্যানের হাসপাতালে আসবে কেন? এটাও সকলের প্রশ্ন। প্রতিদিন চেয়ারম্যান আসেন আর প্রতিদিন টাকা খরচ হয়। এর হিসাব কে দিবে? এ বিষয়ে অনুসন্ধান করে সকল অভিযোগের সত্যতা সত্যতা পাওয়া গেছে।

প্রতিবেদনে মাসুদ রানা এবং যাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে তাদের মোবাইল কললিষ্ট পরীক্ষা করলেই এবং আনসার সদস্যদের মোবাইল কললিষ্ট সার্চ করলেই এইসব ক্লিনিকের নাম এবং নাম্বার এবং ভিজিটিং কার্ড সবকিছু পাওয়া যাবে। ক্লিনিক মালিক এবং মার্কেটিং এ যারা আছেন তারা সবাই ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।

হাসপাতালের ঘটনা উপরে যে লিস্টটা দিয়েছি এইসব ক্লিনিক থেকে বাংলাদেশ শিশু হাসপাতালের ডাক্তার শিমুলের নির্দেশে সিকিউরিটি অফিসার মাসুদ রানা অগ্রীম টাকা গ্রহন করেন।
ভুক্তভোগীরা এ বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা, সচিব,স্বাস্থ্য মহাপরিচালক ও শিশু হাসপাতাল পরিচালনার বোর্ডের চেয়ারম্যানের পদক্ষেপ কামনা করেছেন।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *