সিলেটের বাঙ্গালভিটায় দুই চোরাকারবারির বাড়ি থেকে কোটি টাকার ভারতীয় শাড়ি থানা কাপড় জব্দ

Uncategorized অপরাধ আইন ও আদালত গ্রাম বাংলার খবর জাতীয় প্রশাসনিক সংবাদ বিশেষ প্রতিবেদন সারাদেশ সিলেট

নিজস্ব প্রতিনিধি  (সিলেট) :  সিলেটের  সুনামগঞ্জের মধ্যনগরে বাঙ্গালভিটা সীমান্তে চোরাকারবারির রেকি করে রাখা দুই বাড়ি থেকে টাস্কফোর্সের অভিযানে কোটি টাকার অধিক মুল্যের ভারতীয় শাড়ি থান কাপড় জব্দ করা হয়েছে।


বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে রাত অবধি সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসন, বিজিবি সিলেট সেক্টরের ২৮ বর্ডারগার্ড ব্যাটালিয়নের সুনামগঞ্জ অধিনায়ক সিও (বিজিবি)’র দিক নির্দেশনায় তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো. আবুল হাসেমের নেতৃত্বে টাস্কফোর্সের অভিযানটি পরিচালনা করা হয়।


বিজ্ঞাপন

শুক্রবার ২৮- বর্ডারগার্ড ব্যাটালিয়নের সুনামগঞ্জ অধিনায়ক সিও (বিজিবি) লে. কর্নেল একে এম জাকারিয়া কাদির এ তথ্য নিশ্চিত করেন।


বিজ্ঞাপন

সিও বিজিবি বলেন,ব্যাটালিয়নের মধ্যনগরের বাঙ্গালভিটা বিওপির অনতিদূরে সীমান্ত সড়ক সংলগ্ন হাওরঘেষা কীর্তনছড়ার দুটি বাড়ি থেকে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে চোরাচালানের মাধ্যমে ভারত থেকে নিয়ে আসা একাধিক বস্তা ভর্তি ৭১২ পিস শাড়ি, ২০ পিস লেহেঙ্গা, ১২০০ গজ থান কাপড় টাস্কফোর্সের অভিযানে জব্দ করা। জব্দকৃত মালামালের মূল্য প্রায় ১ কোটি ১ লাখ ৫৮ হাজার টাকা।


বিজ্ঞাপন

যেভাবে জব্দ করা হয় কোটি টাকার চালান  : মধ্যনগরের সীমান্তবর্তী জনপদের মানুষজন ২৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের বাঙ্গালভিটা বিওপির অদুরে সীমান্ত সড়ক সংলগ্ন হাওরঘেষা কীর্তন ছড়ার জালাল ও গোলাপের বাড়িতে ১১৬ বস্তা ভর্তি ভারতীয় কসমেটিক, কাপড় রয়েছে এমন তথ্য মধ্যনগর থানা পুলিশ , উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট গোপনে অবহিত করলেও কোন সাড়া পাননি।

এরপর বৃহস্পতিবার বিষয়টি ২৮- বর্ডারগার্ড ব্যাটালিয়নের সুনামগঞ্জ অধিনায়ক সিও (বিজিবি)কে অবহিত করা হয়। সিও বিজিবির আদেশে বাঙ্গালভিটা বিওপির বিজিবির চার সদস্য বাড়ি দুটির একটি থেকে চোরাচালানী চক্রের মূল হোতা বাঙ্গালভিটার নুরু মোড়লের ছেলে আল আমিন সাত বস্তা ভারতীয় কাপড় জব্দের জন্য দিয়ে বিজিবিকে ফিরিয়ে দেয়। এ ঘটনায় সংক্ষুদ্ধ সীমান্তবাসী ফের সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও সিও বিজিবিকে অ দাবহিত করেন।

এমনটি আছ করতে পেরে সীমান্ত চোরাকারবারের মূল হোতা আল আমিন দেশীয় অস্ত্র,রামদা, দা, লাঠি সোটা নিয়ে তার নিজস্ব জনবল দিয়ে চোরাচালানের মালামাল রাখার বাড়ি দুটি ঘেরাও করে রাখে জনমনে আতঙ্ক তৈরী করে।

এক পর্যায়ে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া ও সিও বিজিবি লে. কর্নেল একে এম জাকারিয়া কাদির অপারেশন জোরদার করতে বিজিবির জনবল বৃদ্ধি, তাহিরপুর থানা পুলিশ. আনসার সদস্যদের সমন্বয়ে তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ই্উএনও) নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো. আবুল হাসেমের নেতৃত্বে চোরাচালানের মালামাল জব্দ ও চোরকারবারিদের আটক করতে টাস্কফোর্স গঠন করেন।

টাস্কফোর্সের অভিযানের খবর পেয়ে আন্ত:উপজেলা সীমান্ত চোরাকারবারি আল আমিন, তার লালিত লোকজন বাড়ির মালিক জালাল -গোলাপ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বাড়ি থেকে কৌশলে পালিয়ে যায়।

টাস্কফোর্সের অভিযানে ছিলেন না মধ্যনগরের ইউএনও ওসি : এদিকে মধ্যনগর সীমান্তে বৃহস্পতিবার নানা নাঠকিয়তার মধ্য দিয়ে টাস্কফোর্সের অভিযানে কোটি টাকার অধিক ভারতীয় শাড়ি, থান কাপড় . লেহেঙ্গা চোরাচালানের মাধ্যমে নিয়ে এসে দুটি বসতবাড়িতে রাখার পর স্থানীয় সীমান্তবাসী অভিযানের জন্য মধ্যনগরের ইউএনও, থানার ওসি ও পুলিশের বিট অফিসারকে বারবার জানানোর পরও তারা অভিযানে আসতে নানা অজুহাত অনিহা প্রকাশ করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। মধ্যনগর থানার ওসি মুনিবুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে থানা পুলিশকে কেউ অবহিত করেননি।

শুক্রবার জানতে চাইলে মধ্যনগর উপজেলার আইনশৃস্খলা ও চোরাচালান প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ইউএনও উজ্জল রায় বলেন, বিজিবির কাজ বিজিবি করবে, আমি কেন ওখানে (বাঙ্গালভিটা)য় যাব? টাস্কফোর্সের অভিযানের পর এ বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়েছি।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *